গ্রামে বসেই শুরু হতে পারে নতুন জীবনের গল্প। চাকরির পেছনে না ছুটেও নিজেই হয়ে উঠতে পারেন উদ্যোক্তা। এমনই সুযোগ এনে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের “লক্ষপতি দিদি” প্রকল্প। ২০২৩ সালে চালু হওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে সুদমুক্ত ঋণ, যার পরিমাণ হতে পারে ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার মাধ্যমে তাঁদের জীবনে স্থায়িত্ব আনা। যাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, তাঁদের এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তবে শর্ত একটাই—পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে এবং পরিবারের কোনও সদস্য যেন সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত না থাকেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রথমে আবেদনকারীদের একটি নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের অন্তর্গত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—ডেইরি, পোলট্রি, হস্তশিল্প, ফুড প্রসেসিং ও পশুপালন। এই প্রশিক্ষণের পরে মহিলাদের নিজস্ব একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়। এই পরিকল্পনা তাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে জমা দিতে হয় এবং সরকারের নিযুক্ত আধিকারিকরা সেই পরিকল্পনার ভিত্তিতে আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদন করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের প্রয়োজন হয়—যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আয় সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক পাসবই, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও একটি বৈধ মোবাইল নম্বর। এই প্রকল্প শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের রাস্তাও তৈরি করছে অনেক মহিলার জন্য। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল শুধু একটুকু সাহস ও একটা সুযোগ—যা এই প্রকল্প এনে দিচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ ‘দিদি’র জন্য।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নাবলী (FAQ):
কী এই লক্ষপতি দিদি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য?
– এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও উদ্যোক্তা করে তোলা।
কে কে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন?
– স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা মহিলারা, যাঁদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার নিচে এবং যাঁদের পরিবারে কোনও সরকারি চাকুরিজীবী নেই।
এই প্রকল্পে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে?
– প্রতিটি মহিলা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ পেতে পারেন।
প্রশিক্ষণের পর কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করা যাবে?
– ডেইরি, পোলট্রি, হস্তশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পশুপালনের মতো ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
আবেদনের জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
– আধার, প্যান, আয় সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক পাসবই, ছবি এবং মোবাইল নম্বর।