পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক জনমুখী ভাতা চালু হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বৃদ্ধ ভাতা, চোখের আলো, এবং অবশ্যই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের অসংখ্য মহিলার জীবনে আর্থিক স্বস্তি এনে দিয়েছে এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প।
বর্তমানে সাধারণ জাতিভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ১০০০ করে, এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০। বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, এই ভাতা জুলাই মাস থেকেই বাড়ানো হবে। অনেকেই আশা করেছিলেন, এবার সাধারণ মহিলারা পাবেন ১৫০০ এবং তপশিলি মহিলারা পাবেন ১৮০০।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রান্ত ‘খুশির খবর’। কিছু অনলাইন পোর্টালেও দাবি করা হয়েছিল যে, জুলাই মাস থেকেই রাজ্য সরকার বাড়িয়ে দিচ্ছে ভাতা। এই খবর সামনে আসতেই রাজ্যের বহু উপভোক্তার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করতে শুরু করেন নতুন ভাতা ঢুকেছে কি না দেখার জন্য।
কিন্তু সরকারিভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, আপাতত এই ভাতা বৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ জুলাই মাসেও পুরনো হারেই মিলবে ভাতা—সাধারণ মহিলারা ₹১০০০ এবং তপশিলি মহিলারা ১২০০ করে পাবেন।
যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভাতা বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব সরকারি স্তরে বিবেচনা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘোষণা করা হতে পারে। ভোটের মুখে আর্থিক সহায়তার অঙ্ক বাড়িয়ে জনসমর্থন আরও মজবুত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল, এমন অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ মানুষের মনেই এখন একটাই প্রশ্ন—
এই মুহূর্তে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ভাতা কত টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে?
সাধারণ জাতিভুক্ত মহিলারা ১০০০ এবং তপশিলি মহিলারা ১২০০ করে পাচ্ছেন।
কবে থেকে বাড়তে পারে ভাতা?
সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও ভোটের আগে ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাতা বৃদ্ধির জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে কি?
না, ভাতা বাড়লেও পুরনো উপভোক্তারাই সরাসরি সেই সুবিধা পাবেন।
সরকার কি জুলাই মাসে ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল?
না, সরকার কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা করেনি; গুজব থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে নতুনভাবে কীভাবে আবেদন করা যায়?
নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে, অথবা অনলাইনে আবেদন করা যায়।
বর্তমানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১.৮ কোটি মহিলার কাছে মাসিক আর্থিক সাহায্য পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রকল্প একদিকে যেমন নারীর আর্থিক স্বাধীনতা বাড়িয়েছে, তেমনই শাসক দলের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়েছে অনেক গুণ। তবে ভাতা বাড়ছে কি না, এই নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে পরামর্শ, শুধুমাত্র সরকার ঘোষিত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।