Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বাজি বিক্রি বন্ধে ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের, শেষ ভরসা সেই হাইকোর্টেই

সামনেই কালীপুজো আসছে। এরইমধ্যে পরিবেশ কর্মীরা এই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে আতশবাজি নিষিদ্ধ করতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ইতিমধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থান সরকারকে…

Avatar

সামনেই কালীপুজো আসছে। এরইমধ্যে পরিবেশ কর্মীরা এই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে আতশবাজি নিষিদ্ধ করতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ইতিমধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থান সরকারকে ৭ থেকে ৩০ ই নভেম্বর অব্দি আতশবাজি নিষিদ্ধ করতে নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাথে সাথেই রাজস্থান সরকার আতশবাজি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু বাংলায় আতশবাজি বন্ধ নিয়ে এখনও অব্দি কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন।

এই বছরে বাজি ব্যবহার করলে বিপদ ঘনিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে বোস ইনস্টিটিউটের পরিবেশ বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এখন রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও যাচ্ছে এবং কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে বাজি পোড়ালে কুয়াশার সাথে ধোঁয়া মিশে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস ড্রপলেটের সাথে থেকে বেশিদূর যেতে পারে না। কিন্তু তোমার সাথে এই মারণ ভাইরাস বেশি দূর অব্দি যেতে পারবে ও অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারবে। এর ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

করোনা সংক্রমনের ভয়ে এবং পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে পরিবেশ কর্মীরা আতশবাজি নিষিদ্ধ করতে অনুরোধ জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য এই বিষয়ে কিছু না জানালেও আজকে হাইকোর্টে বাজি সংক্রান্ত একটি মামলা উঠতে পারে। যদিও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন অফিসার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিবেশ আইন বায়ু দূষণ আইন এবং বিপর্যয়ের মোকাবিলা আইনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার খুব সহজেই বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কোর্টের হস্তক্ষেপ করা কোন দরকার পড়ে না।

এইজন্যই এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে রাজ্য সরকার কি বাজি নিষিদ্ধ করতে চায় না? সরকার চাইলেই এই মুহূর্তে রাজস্থানের মত বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পারে। কিন্তু নবান্ন এই বিষয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপই দিচ্ছে না। অনেকের মতে এই ধরনের বিধিনিষেধ আনতে শাসকদলের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই জন্যই হয়তো এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার এত গড়িমসি করছে।

About Author