বছরের পর বছর ধরে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে অপেক্ষার অবসান। অবশেষে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল পরিষেবা পুরোপুরি চালু হতে চলেছে। এমনটাই জোরালো ইঙ্গিত মিলেছে মেট্রো রেল সূত্রে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ জুলাই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একুশে জুলাইয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির আগেই তাঁর রাজ্যে আসার কথা, আর সেই সফরেই হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রো সুড়ঙ্গপথের আনুষ্ঠানিক সূচনা।
দীর্ঘদিন ধরে বৌবাজার অঞ্চলের ধ্বস ও জলের অনুপ্রবেশের জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মাঝের অংশে কাজ থমকে গিয়েছিল। ফলে পরিষেবা চলছিল খণ্ডিতভাবে— একদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং অপরদিকে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য তা বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখন সব জটিলতা কাটিয়ে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS)-র ছাড়পত্রও পেয়ে গেছে এই প্রকল্প। অর্থাৎ, নিরাপত্তার দিক থেকেও আর কোনও বাধা নেই। শুধুই ছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমতির অপেক্ষা। এবার সেই অপেক্ষাও শেষ হয়েছে বলেই মেট্রো সূত্রে খবর।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowহাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মেট্রো পরিষেবা চালু হলে শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় আসবে বিপুল পরিবর্তন। যাত্রীদের সুবিধাও হবে বহুগুণে। যেমন, হাওড়া থেকে শিয়ালদহ যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। আর হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩৫-৪০ মিনিট, এমনটাই মেট্রোর আনুমানিক হিসাব। ভাড়ার দিক থেকেও রইল সুখবর। প্রায় ১৬.৫ কিলোমিটার যাত্রাপথে যাত্রীদের গুনতে হবে মাত্র ৩০ টাকা। সাশ্রয়ী এই ভাড়ার বিনিময়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রান্তকে সংযুক্ত করবে এই পরিষেবা। কলকাতার নগর পরিকল্পনা ও যোগাযোগের দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায়।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য (FAQs):
কবে থেকে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চালু হতে পারে?
সম্ভবত ১৮ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়েই উদ্বোধন হতে চলেছে পরিষেবা।
কী কারণে এতদিন বন্ধ ছিল পুরো রুটে মেট্রো চলাচল?
বৌবাজারে ধ্বস ও জল বেরোনোর সমস্যার জন্য মাঝের অংশে কাজ বন্ধ ছিল।
এই রুটে যাত্রীদের ভাড়া কত পড়বে?
হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ পথ অতিক্রমে সময় কত লাগবে?
পুরো ১৬.৫ কিমি পথ যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫-৪০ মিনিট।
এই পরিষেবার ফলে কী কী সুবিধা পাবেন যাত্রীরা?
সময় ও খরচ উভয়ই কমবে; গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হবে।