Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

সামনেই বড়দিন, উপহার হিসাবে সান্টা আনবে পুতুল, কিন্তু জানেন প্রথম কোথায় তৈরি হয় পুতুল

সামনে কারোর অন্নপ্রাশন কিংবা জন্মদিন হলে আমাদের প্রথম উপহারটাই থাকে পুতুল। কিংবা সামনেই বড়দিন দিতে হবে কাউকে পুতুল।  ছোট-বড় নানা মাপের পুতুল বাজারে পাওয়া যায়। এখনতো পুতুলগুলো দেখলে সত্যিকারের বাচ্চার…

Avatar

সামনে কারোর অন্নপ্রাশন কিংবা জন্মদিন হলে আমাদের প্রথম উপহারটাই থাকে পুতুল। কিংবা সামনেই বড়দিন দিতে হবে কাউকে পুতুল।  ছোট-বড় নানা মাপের পুতুল বাজারে পাওয়া যায়। এখনতো পুতুলগুলো দেখলে সত্যিকারের বাচ্চার সঙ্গে গুলিয়ে যায়। 

এখন আমরা দেখতে পাই পুতুল গুলি হাটে, কথা বলে, কাঁদে, ঘুমায়, খায়, জল পান করে সব কিছু করতে পারে। যতটা একটা জ্যান্ত মানুষ করতে পারে, সবটাই এই পুতুল গুলি করতে পারে। কিন্তু ধরে নিন একটি খুব দরিদ্র বাচ্চার পুতুল কেনার ক্ষমতা নেই। সে কি করবে সে কি তার শৈশব জীবনে পুতুল খেলবে না? একদমই না, এর একটি উপায় আছে। কাঠের টুকরোতে কাপড় জড়িয়ে পুতুল বানানো হয়।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

আরও পড়ুন : শুধু KYC নয়, ব্যাংকের ফর্মে এবার থেকে লাগতে পারে ধর্মীয় পরিচয় পত্রও

আমরা তো সবাই পুতুল খেলেছি ছোটবেলায়। কিন্তু আমরা কি জানি?  এর শুরুটা কিভাবে হয়! ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এর শুরুটা কোন ঐতিহাসিক ঠিকভাবে বলতে পারেননি। ঐতিহাসিক নথিপত্রে দেখা যায় যেখানে ছোট শিশু কন্যার সাক্ষী মিলেছে সেখানেই কিন্তু তার সঙ্গে পাওয়া গেছে তার একটি ছোট্ট পুতুল। ভারতীয় শিশুরা ছোট কাঠের টুকরোর পুতুল ব্যবহার করত। অন্যদিকে পার্শিয়ান শিশুরা ব্যবহার করত একেবারে সাধারণ কাপড়ের টুকরো কে ভাঁজ করে তার উপরে চোখমুখ আঁকা  পুতুল। এছাড়া অতীতে যদি ফিরে যাওয়া যায় তো দেখা যায়, বাচ্চারা মাটি অথবা হাড় দিয়ে পুতুল বানিয়ে সেটাকে খেলার সঙ্গী করতো।

তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিকদের মতে পুতুলের প্রথম ব্যবহার প্রচলিত হয় ধর্মীয় কারণে। তখন একমাত্র শিশুদেরই এই ধর্মীয় কারণে ব্যবহৃত পুতুল গুলিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হতো এবং তখন থেকেই শিশুরা মূলত এগুলিকে খেলনা হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই শিশুরা এই পুতুলকে খেলনা হিসেবে ব্যবহার করতো। 

তবে পুতুলের আবিষ্কারক হিসেবে ধরা হয় কিন্তু মিশরীয়দের। তারা মূলত কাঠ দিয়ে পুতুল বানাত এবং যার উপরে খুব সুন্দর নকশা করা পুতি লাগানো থাকত। মিশরীয়দের যে পুতুল পাওয়া গেছে তা আনুমানিক তিন হাজার বছরের পুরনো।

মিশরীয়দের সাথেসাথেই গ্রীকরা ও পুতুল বানাতে বেশ আগ্রহী ছিল। তাদের পুতুল গুলির ছিল বেশ সুন্দর মাথা, সুন্দর বাহু এবং সুন্দর পা। এরপরে পুতুল বানানো অনেকটাই নির্ভর করত, সেখানে কোন জিনিসটি সহজে পাওয়া যায়, ধরে নিন যদি কোনো এস্কিমো কন্যা, সে তো আর পুতুল তৈরীর জন্য মাটি ও পাবেনা কাঠও পাবে না, কিন্তু তা বলে কি তার খেলা বন্ধ থাকবে? সে পুতুল তৈরি করবে তিমি মাছের হাড় দিয়ে। আবার মেক্সিকোতে পুতুল বানানো হয় পোড়ামাটি দিয়ে। তবে আধুনিক যুগে পুতুল বানানো হয় মোম,  কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে।

About Author