দেশনিউজ

এবার কৃষি বিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কেরল সরকার

Advertisement
Advertisement

কেরালাঃ গতকাল বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান আট জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করবে বিরোধীরা৷ এরপরে কেন্দ্রও জানায় নিজেদের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেই আট জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, ওই দিন কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে এদিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি।

Advertisement
Advertisement

রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে, সাসপেন্ড হওয়া আট সাংসদই সোমবার সারা রাত সংসদ ভবনের লনে গান্ধি মূর্তির নীচে বসে প্রতিবাদ দেখান৷ এমনকি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলের সাংসদরা।

Advertisement

পাশাপাশি দেশের ১৮ বিরোধী দল রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ওই বিলে সাক্ষর না করার অনুরোধ করেছে। আর এসবের মাঝে ইতিমধ্যেই কেরল সরকারের দাবি করেছে ১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে যা করা হয়েছে তা কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী, যে আইন করা হল তা দেশের ব্যবসায়ীদেরই পেট ভরাবে।  এই নিয়ে সংসদে মোট তিনটি কৃষি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। ব্যবসায়ী ও মজুতকারীরা সুবিধের জন্য পাশ হয়েছে আরো একটি বিল।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু এসবের মাঝে সরকারের জানিয়েছে ওইসব পণ্য উৎপাদন, সাপ্লাই ও মজুতের সীমার না থাকার ফলে কৃষকদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও ওইসব পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধে পাবে। এবার সংসদে পাস হয়ে যাওয়া ওই বিলকে সুপ্রিম কোর্ট চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার।

Advertisement

Related Articles

Back to top button