ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার কামাল হাসান ও কিংবদন্তি পরিচালক মণি রত্নমের বহু প্রতীক্ষিত অ্যাকশন ড্রামা ‘ঠগ লাইফ’ অবশেষে ৫ জুন, ২০২৫ তারিখে মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায়। বিশাল বাজেট, দুর্দান্ত স্টারকাস্ট এবং আগাম প্রচারের আলোয় ভেসে ওঠা এই ছবিটি প্রথম দিনেই প্রায় ১৭ কোটি আয় করেছে। তবে ২০০ কোটির প্রোডাকশন বাজেটের তুলনায় এই আয়কে অনেকেই হতাশাজনক বলেই দেখছেন।
বিশদে দেখা যাক ছবির প্রথম দিনের পারফরম্যান্স
ছবিটির বেশিরভাগ আয় এসেছে তামিল ভার্সন থেকে— ১৫.৪ কোটি। তেলুগু থেকে এসেছে ১.৫ কোটি এবং হিন্দি ভার্সন থেকে মাত্র ১০ লক্ষ। তামিলনাড়ুতে গড় থিয়েটার দখলদারি ছিল ৫২.০৬ শতাংশ, যা নতুন কোনও বড় রিলিজের জন্য তুলনামূলকভাবে মাঝারি। অথচ মুক্তির আগেই সারা দেশে ৩.৫ লক্ষেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, যার মাধ্যমে আগাম বুকিং থেকেই উঠে এসেছিল ৬.১৬ কোটি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowনানা প্রতিকূলতা ও বিতর্কে জর্জরিত মুক্তি
ছবির মুক্তির দিনেই একাধিক piracy ওয়েবসাইটে এর লিক হওয়া ছবির আয়কে বড়সড় ধাক্কা দেয়। সেই সঙ্গে কর্নাটকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ছবিটি মুক্তি পায়নি, যা দক্ষিণের বাজারে এক বড়সড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সমালোচক ও দর্শক মিলিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন— কেউ অভিনয় ও ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনকে প্রশংসা করেছেন, কেউ আবার গল্পের গতি ও দুর্বল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এত বড় বাজেট, তবু লাভের আশা কি আছে?
₹২০০ কোটির বাজেটের ছবির ক্ষেত্রে প্রথম দিনের ১৭ কোটির আয় যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে রিলিজ বন্ধ এবং অনলাইনে পাইরেসির মতো সমস্যা ছবিকে তাড়া করছে। আগামী দিনগুলিতেই বোঝা যাবে, ‘Thug Life’ কি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, না কি এই ছবি আরও এক “বিগ বাজেট ফ্লপ”-এর তালিকায় ঢুকে যাবে।