নদিয়ার কল্যাণী পুরসভা এবার রাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস (পাইপড ন্যাচারাল গ্যাস বা PNG) সরবরাহ পেতে চলেছে। বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (BGCL) এই প্রকল্পের রূপায়ণ করছে, যা রাজ্য সরকারের সঙ্গে GAIL (India) Limited-এর যৌথ উদ্যোগ।
প্রকল্পের অগ্রগতি ও সময়সীমা
বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কল্যাণীতে মাদার গ্যাস স্টেশনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সামান্য কাজ আগামী এক-দু’মাসের মধ্যে শেষ হলে, পুজোর আগেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে কল্যাণীর বহু বাড়িতে পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর পাইপলাইন পাতার কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। এই লাইন ব্যারাকপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে, এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বারাসত পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজ্যব্যাপী সম্প্রসারণ পরিকল্পনা
কল্যাণীর পর, শ্যামনগর ও ব্যারাকপুরে নতুন মাদার CNG স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, কলকাতা ও শহরতলিতে ১৫টি নতুন CNG স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে, যা পুজোর আগেই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে হুগলিতে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
পাইপড গ্যাসের সুবিধা
অর্থনৈতিক সাশ্রয়: পাইপড গ্যাস সিলিন্ডারের তুলনায় সস্তা ও সাশ্রয়ী।
নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ: গ্যাস সরবরাহ নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্ন, ফলে সিলিন্ডার শেষ হওয়ার চিন্তা নেই।
নিরাপত্তা: পাইপড গ্যাস ব্যবহারে বিস্ফোরণের ঝুঁকি কম।
পরিবেশবান্ধব: প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
সংক্ষিপ্ত FAQ
প্রশ্ন ১: কল্যাণীতে কবে থেকে পাইপড গ্যাস পরিষেবা শুরু হবে?
উত্তর: সবকিছু ঠিক থাকলে, পুজোর আগেই পরিষেবা চালু হবে।
প্রশ্ন ২: কোন সংস্থা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে?
উত্তর: বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (BGCL)।
প্রশ্ন ৩: পাইপড গ্যাসের সুবিধা কী?
উত্তর: সাশ্রয়ী, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ।
প্রশ্ন ৪: কল্যাণীর পর কোন এলাকায় পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে?
উত্তর: শ্যামনগর, ব্যারাকপুর এবং বারাসত।
প্রশ্ন ৫: নতুন সংযোগের জন্য কোথায় আবেদন করতে হবে?
উত্তর: বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির অফিস বা তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।