গতবছর পশ্চিমবঙ্গ ও তার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আস্ফালন দেখিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এই ঝড়ের জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ। পাশাপাশি প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল বাংলার প্রাণকেন্দ্র কলকাতা শহর। এছাড়াও ঝড়ের দাপটে অস্তিত্বের সংকটের সাথে লড়াই করেছিল সুন্দরবন এবং উপকূলের জেলাগুলি। প্রায় কয়েক মাস জলের তলায় ডুবে ছিল সুন্দরবনের একাধিক অঞ্চল। এখনও আম্ফানের অপূরণীয় ক্ষতি মেটেনি এই সুন্দরবনে। কিন্তু এরইমধ্যে আবহাওয়া দপ্তর দিয়েছে অশনি সংকেত। বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। আবারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলি।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে এখন মোট দুটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছিল। কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে আরব সাগরের বুকে তৈরি হওয়া টাউকতে ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড় গতকাল ব্যাপক শক্তি নিয়ে মুম্বাই এবং গুজরাটে আছড়ে পড়ে। এরপর অন্য একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। এই নিম্নচাপের জেরে ঘূর্ণিঝড় “যশ” তৈরি হয়েছে। চলতি মাসের ২৩ মে থেকে ২৫মে এর মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পৌঁছে যাবে। এই সুপার সাইক্লোন ‘যশ’-র গতিমুখ বাংলাদেশের দিকে থাকবে বলেই জানা গিয়েছে । ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম এলাকা পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে । সেই সাথে এই ঝড় দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে গরমের দাবদাহে জ্বলছে বাংলা। ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত বাঙালির প্রাণ। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রার পারদ ৫ ডিগ্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্যাচপ্যাচে গরম অনুভূত হচ্ছে। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৪৭ থেকে ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে আগামী দু’দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কিন্তু দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।