![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2021/12/IMG-20211206-WA0013.jpg)
শীতের মরসুমে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষার আমেজ৷ সৌজন্যে ‘জওয়াদ’। শীতের মরশুমে বৃষ্টি যেন বাংলার পিছুই ছাড়ছে না৷ ডিসেম্বর মাসে জওয়াদের হাত ধরে ফের বৃষ্টি ফিরে এল বঙ্গে৷ সেই শনিবার থেকে কখনও ঝিরিঝিরি তো কখনো ভারী বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরী নিম্নচাপের জন্য সোমবার ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আজ দিনভর বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃষ্টি চলবে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি চলবে সারাদিন। বৃষ্টি শুরু হয়েছে শনিবার দুপুএ থেকেই। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বাংলাতে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর, রবিবার সারাদিন ধরেই কখনও হালকা তো কখনও ভারী বৃষ্টি দেখা গিয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই বৃষ্টি কবে কমবে? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই বাংলার আকাশ পরিস্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে জাওয়াদ আসার খবর পেতে আগে থাকতেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বাংলার প্রশাসন। সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উপকূল এলাকার মানুষজনকে। বাংলাত এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন নবান্ন। আর কন্ট্রোলরুম সংক্রান্ত সব খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপরে বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের আগে থাকতেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বাংলার প্রশাসন। সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উপকূল এলাকার মানুষজনকে। এমনকি সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা না নামে তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আবার উপকূলবর্তীতে মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনীকেও।
আজকের দিনে কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি এবং রাতের দিকে পরিষ্কার হয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই বাংলার একাধিক জেলার মুখ ভার, সঙ্গে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাতও। আজ সারাটা দিন এমন ভাবেই আকাশের মুখ ভার থাকবে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে রাতের দিক থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।