নিউজপলিটিক্সরাজ্য

বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল দিলীপ ছাড়াই বাংলা বিজেপির স্তম্ভ হবে এই “নতুন দল”, ঘোষণা জে পি নাড্ডার

Advertisement
Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলকে হারানোর জন্য গেরুয়া শিবির সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিহার জয়ের পর নয়া উদ্যোমে কাজ করতে লেগে গেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। ২০২১ এ শাসকদলের মুকুট বিজেপি নিজের মাথাতেই পরতে চায়। তাই কোনভাবেই কোন কাজে তারা ফাঁকি দিতে চায় না। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই বাংলা জয় ছক কষে নিয়েছে। দলের সূত্রের খবর অনুযায়ী বাংলায় দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়ের ছাড়াও একটি আলাদা দল তৈরি হচ্ছে যারা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আলাদা দলের নাম রাখা হয়েছে সংযোজক। জানা যাচ্ছে পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেপি নাড্ডা সংযোজকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক করে গেছেন।

Advertisement
Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে না রেখে সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের হাতে। কোন এলাকায় বিধায়কের হাল কেমন এবং তার সম্বন্ধে একটি রিপোর্ট বানানো হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী কালে পারফরম্যান্স দেখে প্রার্থী নিযুক্ত হবে। এবার একই পথে হাঁটালো বিজেপিও। তারাও বাংলার ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকায় একটি করে সংযোজক নিযুক্ত করল। এই সংযোজকরা প্রত্যেকটি বিধানসভা এলাকায় তাদের সমীক্ষা চালাবে। তারপর সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা একটি রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে প্রার্থী বাছাইয়ের উপদেশ দেবে।

Advertisement

অনেকদিন আগেই যখন বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেপি নাড্ডা উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন তখনই তিনি সংযোজক নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন। আসলে কেন্দ্রভিত্তিক প্রার্থী নিয়োগ হয় বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন মতে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে কোন্দল আটকাতে সংযোজক নিয়োগ একমাত্র উপায় বলে মনে করেছে বিজেপি।

Advertisement
Advertisement

ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের তরফে বাংলার সবকটি বিধানসভার জন্য ২৯৪ জন সংযোজক এর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সংযোজক হওয়ার আবার কিছু শর্ত আছে। তাদের নিজের এলাকায় পরিচিতি থাকতে হবে। সেই সাথে সেই ব্যক্তির চারচাকা বা দু চাকা থাকা এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া অনিবার্য। যদিও জেলা তথা রাজ্য নেতৃত্ব এইসব সংযোজকদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সূত্রের খবর, ভাইফোঁটার পর থেকেই সংযোজকরা তাদের কাজে লেগে পরবে।

 

Advertisement

Related Articles

Back to top button