আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন কোটি কোটি করদাতা। প্রতি বছরই শেষ মুহূর্তে সরকার তারিখ বাড়াবে কি না, সেই প্রশ্নে নানা জল্পনা ছড়ায়। তবে এবার ছবিটা অন্য রকম। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরে সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা কার্যত নেই।
রিটার্ন দাখিলের বর্তমান অবস্থা
আয়কর দফতরের (CBDT) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটিরও বেশি করদাতা তাঁদের ITR দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৩.৩৯ কোটিরও বেশি রিটার্ন ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াজাত হয়েছে। সংখ্যার এই গতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অধিকাংশ করদাতা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। তাই সরকারের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিশেষ কোনও যুক্তি থাকছে না।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকেন সময়সীমা বাড়ানো কঠিন?
কর বিশেষজ্ঞদের দাবি, যখন রিটার্ন ফাইলিং সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে এবং সম্মতির মাত্রা সন্তোষজনক হয়, তখন সরকার সময়সীমা বাড়ায় না। বারবার সময় বাড়ালে শুধু করদাতাদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দেয় না, বরং নিরীক্ষা, মূল্যায়ন ও রিফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।
দেরিতে ITR দাখিলের অসুবিধা
জরিমানা ও বিলম্ব ফি: ধারা ২৩৪F অনুযায়ী, দেরি করলে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সুদের বোঝা: ধারা ২৩৪এ, ২৩৪বি ও ২৩৪সি অনুযায়ী অতিরিক্ত সুদ দিতে হয়।
ক্ষতির সুযোগ হারানো: দেরি করলে ক্যারি ফরোয়ার্ড মূলধন লাভ বা ব্যবসায়িক ক্ষতি দাবি করা যায় না।
প্রযুক্তিগত সমস্যা: শেষ মুহূর্তে সিস্টেম স্লো হওয়ার কারণে লগইন ব্যর্থতা বা ই-যাচাইকরণের সমস্যা দেখা দেয়।
তাড়াতাড়ি দাখিলের সুবিধা
সময়মতো ITR জমা দিলে করদাতারা কেবল জরিমানা ও সুদ থেকে রেহাই পান না, ভুল থাকলে তা সংশোধনেরও সময় পান। পাশাপাশি দ্রুত রিফান্ড পাওয়ার সুযোগ থাকে এবং কর প্রোফাইলে স্বচ্ছতাও বজায় থাকে।