উৎসবের মরসুম এলেই বেড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। লম্বা ছুটির সুযোগে অনেকে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেনে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অফিসের কাজ, ব্যক্তিগত অসুবিধা বা কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তখনই সামনে আসে টিকিট বাতিলের ঝামেলা। যাত্রীদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল IRCTC অ্যাপ ও অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি সহজেই টিকিট বাতিল ও রিফান্ডের ব্যবস্থা রেখেছে। তবে এই নিয়ম সম্পর্কে আগে থেকেই জানা থাকলে যাত্রীরা অযথা সমস্যায় পড়বেন না।
টিকিট বাতিলের নিয়ম ও চার্জ
IRCTC–এর নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আলাদা আলাদা বাতিলকরণ চার্জ ধার্য হয়।- ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টারও বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে: এক্সিকিউটিভ ক্লাসে প্রতি যাত্রীর জন্য ২৪০ টাকা + GST এবং AC চেয়ার কারে ১৮০ টাকা + GST চার্জ কাটা হবে।
- ট্রেন ছাড়ার ৪৮ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে: ভাড়ার ২৫% বাতিল ফি হিসেবে কাটা হবে।
- ট্রেন ছাড়ার ১২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে: ভাড়ার ৫০% কেটে নেওয়া হবে।
নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল না করলে বা TDR জমা না দিলে কোনও রিফান্ড মিলবে না।
ওয়েটিং লিস্ট টিকিট
যদি টিকিট অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকে, তবে বাতিল করলে প্রতি যাত্রীর জন্য মাত্র ২০ টাকা + GST কেটে নেওয়া হয়। তবে সমস্ত যাত্রী যদি ওয়েটিং লিস্টে থেকে যান, তাহলে আলাদা করে টিকিট বাতিল করার প্রয়োজন নেই।
বাঞ্চ টিকিটের ক্ষেত্রে
একসঙ্গে একাধিক টিকিট কাটলে এবং সব যাত্রীর টিকিট নিশ্চিত না হলে, বাতিলকরণে প্রতি টিকিটে ২০ টাকা + GST কেটে রিফান্ড দেওয়া হবে। তবে আংশিক কনফার্ম হলে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী TDR জমা দিতে হয়।
ট্রেন দেরি হলে
যদি কোনও ট্রেন ৩ ঘণ্টার বেশি দেরিতে ছাড়ে এবং যাত্রী ভ্রমণ না করেন, তবে সম্পূর্ণ ভাড়া রিফান্ড করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনও বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হয় না।
সাধারণ যাত্রীদের করণীয়
অনেকেই শেষ মুহূর্তে ভুলবশত টিকিট বাতিল করতে দেরি করেন এবং পুরো ভাড়া হারান। তাই বুকিংয়ের সময় থেকেই যাত্রীদের সচেতন থাকা জরুরি। সময় মতো টিকিট বাতিল করলে ঝামেলা কমে এবং আর্থিক ক্ষতিও হয় না।