২০২৫ সালের জুলাই থেকে টাটকাল টিকিট কাটতে চাইলে আর আগের মতো সহজ হবে না। আধার নম্বর আর ওটিপি ছাড়া টিকিট কাটা যাবে না—এই নতুন নিয়মে চমকে উঠেছেন অনেক যাত্রীই।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ১ জুলাই ২০২৫ থেকে যে কেউ টাটকাল টিকিট কাটতে গেলে তাকে নিজের আধার নম্বর দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। শুধু অনলাইন নয়, ১৫ জুলাই ২০২৫ থেকে সমস্ত বুকিং মাধ্যমেই (যেমন কাউন্টার বা এজেন্ট) লাগবে আধার-লিঙ্কড ফোন নম্বরে পাঠানো ওটিপি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য একটাই—নকল বুকিং রোখা, বট বা সফটওয়্যার-নির্ভর ফেক আইডি ব্যবহার বন্ধ করা, এবং প্রকৃত যাত্রীদের টিকিট পাওয়ার সুযোগ বাড়ানো।
নতুন নিয়মের খুঁটিনাটি
রেল সূত্রে জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে টাটকাল টিকিট বুকিং শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব সিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে,
৬০ শতাংশেরও বেশি AC টিকিট প্রথম ১০ মিনিটেই বুক হয়ে যায়,
৮৪ শতাংশ non-AC টিকিট চলে যায় প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে রেল ঠিক করেছে, এজেন্টদের টিকিট কাটায় সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।
AC কোচের ক্ষেত্রে সকাল ১০টা থেকে ১০:৩০-এর মধ্যে কোনো এজেন্ট টিকিট কাটতে পারবেন না।
non-AC কোচের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে সকাল ১১টা থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত।
গত ৬ মাসে IRCTC প্রায় ২.৫ কোটি ভুয়ো আইডি ব্লক করেছে, আর ২০ লক্ষের বেশি অ্যাকাউন্ট তদন্তাধীন।
পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
কবে থেকে এই আধার-ওটিপি নিয়ম চালু হচ্ছে?
১ জুলাই ২০২৫ থেকে অনলাইন বুকিংয়ে আধার বাধ্যতামূলক, ১৫ জুলাই থেকে সব মাধ্যমেই ওটিপি লাগবে।
এজেন্টরা কেন ৩০ মিনিট টিকিট কাটতে পারবেন না?
যেন প্রকৃত যাত্রীরা আগে সুযোগ পান, এবং ফেক বুকিং কমে।
ওটিপি কাদের কাছে যাবে?
যে মোবাইল নম্বর আধারের সঙ্গে যুক্ত, সেই নম্বরে।
এই নিয়মে সাধারণ যাত্রীরা অসুবিধায় পড়বেন কি?
যারা আধার-লিঙ্ক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন, তাদের জন্য অসুবিধা হবে না।
নতুন নিয়মে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে?
রেল আধার-ভিত্তিক ডিজিটাল যাচাইকরণ ও ওটিপি ভেরিফিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
রেলের এই কঠোর পদক্ষেপ মূলত স্বচ্ছতা ও যাত্রী সুরক্ষার দিকেই ইঙ্গিত করে। আধার ও ওটিপি বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে প্রতারণামূলক বুকিং ও সফটওয়্যার-নির্ভর অসৎ পথে টিকিট কাটা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর।