দেশের চাকরিজীবী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের বিনিয়োগের জন্য এখনো সবথেকে ভালো জায়গা হলো পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একদিক থেকে যেমন পোস্ট অফিসে নিরাপত্তা আপনি পাচ্ছেন, তার পাশাপাশি আপনি নিশ্চিত রিটার্নের সুযোগও পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে বেশিরভাগ মানুষ এখন পোস্ট অফিসে বিনিয়োগের বিষয়টাই বেছে নিতে চাইছেন। আর এমনই একটি প্রকল্প হল পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট বা আরডি। এটি একটি এমন প্রকল্প যেখানে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে আপনি বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এই বিনিয়োগে আপনি দুর্দান্ত রিটার্নও পাবেন।
আগে রেকারিং ডিপোজিট এর উপরে ভারত সরকারের ডাক বিভাগ ৬.২% সুদ দিত। কিন্তু সম্প্রতি সেই সুদের হার বৃদ্ধি করে ৬.৫% করা হয়েছে। একজন বিনিয়োগকারী যে পরিমাণ টাকা রেকারিং ডিপোজিটে রাখবেন তা মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত একই থাকতে হবে। আর সেই হিসেবে সুদের হিসাব করা হবে। মনে করুন একজন প্রতিমাসে রেকারিং ডিপোজিট একাউন্টে ২০০০ টাকা করে জমা করেন। অর্থাৎ প্রতিদিনের এই বিনিয়োগের পরিমাণটা প্রায় ৬৬ টাকার কাছাকাছি দাঁড়াচ্ছে। তাহলে এক বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ২৪ হাজার টাকার কাছাকাছি। পাঁচ বছরের বিনিয়োগের পর মোট টাকার পরিমান হবে ১,২০,০০০ টাকা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত সুদ হিসেবে যোগ হবে ২১৯৮৩ টাকা। ফলে মেয়াদ পূর্তিতে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৩ টাকা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅন্যদিকে ধরা যাক কোন বিনিয়োগকারী প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে জমা করছেন রেকারিং ডিপোজিট একাউন্টে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে তিনি ২ লক্ষ ১২ হাজার ৯৭১ টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। প্রতিমাসে যদি তিন হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে প্রতিদিনে তিনি ১০০ টাকা করে বিনিয়োগ করছেন। অর্থাৎ তিনি বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে জমা করছেন। পাঁচ বছরের মেয়াদে তিনি জমা করছেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত সুদ হিসেবে তিনি পাচ্ছেন ৩২ হাজার ৯৭২ টাকা।
অন্যদিকে আবার যদি কোন বিনিয়োগকারী প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন, অর্থাৎ প্রতিদিন ১৩৩ টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি এক বছরে বিনিয়োগ করতে পারছেন ৪৮ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের মেয়াদে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করছেন তিনি। সেক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে সুদের অংকটা দাঁড়াচ্ছে ৪৩৯৮৬ টাকা। অর্থাৎ সবমিলিয়ে মেয়াদ পূর্তির সময় প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণটা হচ্ছে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৬৮ টাকা।