রেলযাত্রীদের জন্য আসছে বড়সড় পরিবর্তন। আর আগের মতো ট্রেন ছাড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নয়, চার্ট তৈরি হবে এক দিন আগেই। যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলের এই নতুন পরিকল্পনার পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে রাজস্থানের বিকানের বিভাগে।
কীভাবে কাজ করবে এই নতুন নিয়ম?
বর্তমানে ভারতীয় রেলে দু’টি ধাপে চার্ট প্রস্তুত করা হয়—প্রথমটি ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে এবং দ্বিতীয়টি আধ ঘণ্টা আগে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে অপেক্ষমান (waitlisted) যাত্রীদের দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হয়। অনেকেই শেষ মুহূর্তে জানতে পারেন যে তাঁদের টিকিট কনফার্ম হয়েছে কিনা। সেই সমস্যা দূর করতেই এবার একক চার্ট সিস্টেম চালুর কথা ভাবা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই নিয়ম চালু হলে, যাত্রার এক দিন আগে থেকেই যাত্রীরা জানতে পারবেন তাঁদের টিকিট কনফার্ম হয়েছে কিনা। তাতে কেউ চাইলে সময়মতো বুকিং বাতিল করে অন্য ব্যবস্থার চিন্তাও করতে পারবেন।
ডিজিটাল রূপান্তরের পথে রেল
এই পরিবর্তন শুধু একটি নীতিগত পদক্ষেপ নয়, বরং ভারতের রেল ব্যবস্থার ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন-এরই অংশ। চার্ট তৈরি হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে SMS বা ই-মেল মারফত জানানো হবে যাত্রীদের—তাঁদের সিট নম্বর এবং কনফার্মেশন স্ট্যাটাস।
তবে এই নতুন পদ্ধতির কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। রিয়েল-টাইম ডেটা সিঙ্ক করানো, শেষ মুহূর্তের ক্যানসেলেশন ও বুকিং ম্যানেজ করা, এবং যাত্রীদের অভিযোগের দ্রুত সমাধান করাই মূল লক্ষ্য থাকবে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে ধাপে ধাপে সারা দেশে এই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। তবে এর জন্য বিভিন্ন রেল বিভাগে তথ্য প্রযুক্তির পরিকাঠামো উন্নয়নেরও প্রয়োজন হবে।
জানুন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
কবে থেকে চালু হচ্ছে এই নতুন চার্টিং পদ্ধতি?
আপাতত বিকানের রেল বিভাগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। সফল হলে বাকি জায়গায় চালু হবে।
পুরনো চার্টিং সিস্টেম একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে?
হ্যাঁ, নতুন নিয়ম চালু হলে ৪ ঘণ্টা ও ৩০ মিনিট আগে চার্ট তৈরির পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাবে।
SMS বা ই-মেলে নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, চার্ট তৈরি হওয়ার পর যাত্রীদের কাছে অটোমেটিক নোটিফিকেশন যাবে।
টিকিট কনফার্ম না হলে কী সুবিধা পাবেন যাত্রীরা?
আগে থেকেই জানা গেলে কেউ চাইলে অন্য ট্রেনে যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এই সিস্টেমে কোনও অসুবিধা হতে পারে কি?
হ্যাঁ, শেষ মুহূর্তের বুকিং বা ক্যানসেলেশনের জটিলতা থাকবে, যা সামলাতে প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদের উন্নয়ন দরকার।