নিউজদেশ

সাধারণ লাইনে আর চলবে না মালগাড়ি, হুহু করে ছুটবে যাত্রীবাহী ট্রেন, আর লেট করবে না

Advertisement
Advertisement

দিল্লি-হাওড়া রেললাইনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য সুখবর রয়েছে। এই ব্যস্ত রেলরুটে মালবাহী ট্রেন আর চলবে না। বর্তমানে চলমান প্রায় ৯০০ মালবাহী ট্রেন এখান থেকে স্থানান্তরিত হবে। অর্থাৎ বিদ্যমান লাইনে শুধু যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে এবং এর সরাসরি সুফল পাবে রেলযাত্রীরা।

Advertisement
Advertisement

দেশে মালবাহী ট্রেনের জন্য দুটি ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোর নির্মাণ করা হচ্ছে। পূর্ব ও পশ্চিম উভয় করিডোরের দৈর্ঘ্য ২৮৪৩ কিলোমিটার। ১৩৩৭ কিমি দীর্ঘ ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরটি পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের সোননগর পর্যন্ত শুরু হয় এবং ১৫০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পশ্চিমবঙ্গের সোননগর পর্যন্ত বিস্তার রয়েছে। হরিয়ানার রেওয়ারি থেকে মহারাষ্ট্র (আটেলি থেকে জওহরলাল নেহেরু বন্দর, জেএনপিটি) পর্যন্ত দীর্ঘ পশ্চিম করিডোর নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ইস্টার্ন করিডোরের নির্মাণ কাজ অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement

freight train India

Advertisement
Advertisement

উভয় করিডোর নির্মাণের পরে বিদ্যমান দিল্লি, হাওড়া এবং দিল্লি-মুম্বাই থেকে প্রায় ১৮০০ মালবাহী ট্রেন স্থানান্তরিত হবে। ইস্টার্ন ফ্রেইট করিডোর তৈরি হয়ে যাওয়ায় দিল্লি-হাওড়া লাইন থেকে চলাচলকারী প্রায় ৯০০ মালবাহী ট্রেন এই করিডোরে স্থানান্তরিত হবে। এত সংখ্যক মালবাহী ট্রেন স্থানান্তরিত হলে দিল্লি-হাওড়া লাইন থেকে ট্র্যাফিক কমে যাবে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি বাড়বে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এতে করে এসব ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সময় সাশ্রয় হবে। এর দ্বিতীয় সুবিধা হবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। তবে এর জন্য নতুন বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

উভয় করিডোর তৈরির উদ্দেশ্য হল গন্তব্য থেকে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা। বর্তমানে মালবাহী ট্রেনের গড় গতি ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার। তবে করিডোরটি দিয়ে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে। করিডোরটি ৯টি রাজ্যের ৬১টি জেলার মধ্য দিয়ে যাবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button