যাত্রী সুবিধার্থে একের পর এক অভাবনীয় কাজ করছে ভারতীয় রেল। প্রযুক্তিগত দিক থেকে আধুনিকরণ থেকে শুরু করে সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সবেতেই এখন এগিয়ে এই ভারতীয় রেল। ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে চলেছে ভারতীয় রেল। এই ২৫ বছরের চ্যালেঞ্জের নাম মিশন ২০৪৭। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে ভারতীয় রেল আগামী ২৫ বছরের জন্য কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করছে।
এই মিশনের অংশ হিসেবে ভারতীয় রেলের প্রথম নজর ট্রেনের সার্বিক পরিবর্তনের দিকে। বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়েতে বেশিরভাগ এলএইচবি কোচ ট্রেনগুলি চলে। ভারতীয় রেলের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম টার্গেট হলো সেই সমস্ত এলএইচবি কোচ সরিয়ে সারা দেশে শুধুমাত্র বন্দে ভারতের মতো ট্রেন চালানো হবে। এতে যাত্রীরা যে অনেক সুবিধা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাথমিকভাবে শতাব্দি, জনশতাব্দী এবং ইন্টারসিটি ট্রেনের ট্রাকে সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারতে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দিল্লি থেকে বারানসি এবং দিল্লি থেকে কাটরা পর্যন্ত দুটি বন্দে ভারত ট্রেন চলে। কিন্তু শীঘ্রই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে আরও বন্দে ভারত ট্রেন আসছে। এই আবহে শীঘ্রই তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে। এমনকি আগামী এক বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে এই ভারতের বুকে দৌড়াবে ৭৫ টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও রেলের দ্বিতীয় বড় মিশন হবে ট্রেনের গতি বাড়ানো। রেলওয়ে দেশের বেশিরভাগ রুটে উচ্চগতিতে অর্থাৎ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ট্রেন চালাবে। এটি দিল্লি মুম্বাই এবং দিল্লি কলকাতার রুট থেকে শুরু হবে। বর্তমানে এর প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে এবং রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে অধিকাংশ রুট এই আওতায় আসবে।
এছাড়া রেলের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে চলেছে ট্রেনের দুর্ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা। তার জন্য প্রতিটি ব্যস্ত রুটে ‘কবজ’ নামের একটি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঠেকানো যেতে পারে। এছাড়া সারা দেশে রেলওয়ে ৪০০ টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করবে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।