৮ মে, ২০২৫ তারিখে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি ভারতীয় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে, যা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ম্যাচের পূর্বে সংঘটিত হয়। এই হামলার ফলে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পেশোয়ার ও করাচির মধ্যকার নির্ধারিত ম্যাচটি বাতিল করা হয়।
এই হামলা “অপারেশন সিন্দুর” অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ৭ মে, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে চালানো হয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই অভিযানে জইশ-ই-মুহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী সংগঠনের অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু ছিল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপাকিস্তান দাবি করে, তারা ২৫টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচিতে আঘাত হানে। এই হামলায় চারজন পাকিস্তানি সেনা আহত হন এবং একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তান তাদের ১৫টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছিল, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত একটি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার সিস্টেম ধ্বংস করে।
এই ঘটনার ফলে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন: রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলার সময় কী ঘটেছিল?
উত্তর: ৮ মে, ২০২৫ তারিখে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি ভারতীয় ড্রোন হামলা ঘটে, যা পিএসএল ম্যাচের পূর্বে সংঘটিত হয় এবং স্টেডিয়ামের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন: এই হামলার ফলে পিএসএল ম্যাচের কী অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: হামলার কারণে পেশোয়ার ও করাচির মধ্যকার নির্ধারিত পিএসএল ম্যাচটি বাতিল করা হয়।
প্রশ্ন: পাকিস্তান কতটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে?
উত্তর: পাকিস্তান দাবি করে, তারা ২৫টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচিতে আঘাত হানে।
প্রশ্ন: ভারতীয় সেনাবাহিনী কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তান তাদের ১৫টি শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছিল, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়।
প্রশ্ন: এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছে?
উত্তর: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।