নিউইয়র্ক: পাকিস্তানের একের পর এক এই আগ্রাসন নীতির কারণেই তার ওপর যথেষ্ট রুষ্ট পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে কাশ্মীর ইস্যু ও ভারত নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ ভারতের সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এর ফলস্বরূপ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম সাধারণ সভা থেকে ওয়াক আউট করে ভারত৷
যার ফলে পাকিস্তানের নিন্দা করে ট্যুইটারে তিরুমূর্তি লেখেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি এক ধরনের নতুন নীচু মানের কূটনীতি৷ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও সীমান্ত সন্ত্রাস থেকে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে বিরক্তিকর, বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যে, ব্যক্তিগত আক্রমণ, যুদ্ধে উস্কানিমূলক বিবৃতি৷ কড়া জবাব আসছে”।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিবৃতিতে ইমরান খান বিভিন্ন দেশে “ইসলামোফোবিয়া” বাড়ছে বলে জানান৷ এমনকি তার অভিযোগ মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে এবং মসজিদ ভাঙা হচ্ছে৷ আর এই যুক্তি প্রসঙ্গে পাল্টা ভারতও জানায় পাকিস্তানের অন্যকে নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা উচিত নয় কারণ সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হল সন্ত্রাসবাদ৷ এরপরে ভারত আরো আক্রমণ করে পাকিস্তানকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, “গত ৭০ বছরে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মতো পাকিস্তানের একমাত্র গৌরব হল, সন্ত্রাসবাদ, আদিবাসীদের সাফ, সংখ্যাগুরু মৌলবাদ, পরমাণুর গোপন ব্যবসা৷ এই সেই দেশ, যারা গ্লোবাল টেররিস্টদের পেনশন দেয়৷ যে রাষ্ট্রনেতার বক্তব্য আজ আমরা শুনলাম, তিনি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ আখ্যা দিয়েছিলেন গত জুলাইয়ে নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে৷ ৩৯ বছর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় গণহত্যা চালিয়েছিল এই পাকিস্তান৷ নিজেদের দেশের মানুষদেরই খুন করেছিল”।