ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনাল ম্যাচটি আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে পিচ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে আজ ভক্তরা জানতে আগ্রহী যে বিশ্বকাপ ফাইনালে কী ধরনের পিচ ব্যবহার হতে চলেছে, পিচের মেজাজ কেমন হবে এবং এখানে কে বেশি উপকৃত হবে? বলা বাহুল্য চলতি বিশ্বকাপে এই উইকেট আগেও ব্যবহার করা হয়েছিল।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি একই পিচে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচটি হবে কালো মাটির পিচে। কিউরেটর তাপস চ্যাটার্জির তত্ত্বাবধানে গ্রাউন্ড স্টাফরা গত কয়েকদিন ধরে এই পিচটি প্রস্তুত করছেন। রবিবার আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনও বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন। বলা হচ্ছে, এই পিচ ধীর গতির হতে চলেছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowনরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০টি ওয়ানডে খেলা হয়েছে, যেখানে আগে ও পরে ব্যাট করা দলের জয়ের রেকর্ড সমান। এখানে প্রথমে ব্যাট করা দলটি ১৫ টি ম্যাচ জিতেছে, লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও দলগুলি সমান সংখ্যক ম্যাচে জয় লাভ করেছে। তবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সময় দৃশ্যটা ছিল অন্যরকম। এখন পর্যন্ত এখানে বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটিতে জয় পেয়েছে লক্ষ্য তাড়া করা দল। এই মাঠে বিশ্বকাপে এখনও ৩০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারেনি। আহমেদাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে জয়ী হয়।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই চারটি ম্যাচে পেসাররা ৩৫ টি উইকেট নিয়েছেন, অন্যদিকে স্পিনাররা ২২ টি সাফল্য পেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বলা যায়, এখানে দুই ধরনের বোলারই উইকেট পান। দুই দলই একটি করে ম্যাচ খেলেছে।
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ফাইনাল ম্যাচের একদিন আগে পিচ পরিদর্শন করেছিলেন এবং তিনি তার ছবিও তুলেছিলেন। তবে এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলও হতে হয়েছে তাঁকে। সাংবাদিক সম্মেলনে পিচ নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি ভালো পিচ রিডার নই, তবে মাটি বেশ শক্ত মনে হচ্ছে।’