ভারতের ভোটার কার্ড এখন পেল নতুন রূপ। কাগজের পুরনো পরিচয়পত্রকে বদলে আরও আধুনিক ও টেকসই করে তুলেছে নির্বাচন কমিশন। মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মিলছে এই PVC Voter ID Card, যা দেখতে স্মার্ট এবং ব্যবহারে সুবিধাজনক।নতুন PVC ভোটার কার্ডটি প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় এটি জলরোধী এবং সহজে নষ্ট হয় না। বৃষ্টির জল কিংবা দৈনন্দিন ব্যবহার—কোনও কিছুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই কার্ড। ছোট আকারের হওয়ায় এটি সহজেই ওয়ালেটে রাখা যায়। আধার কার্ডের মতোই কমপ্যাক্ট এই পরিচয়পত্রে ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং ভোটার আইডি নম্বর স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকে। ফলে একে আধুনিক প্রযুক্তির সুরক্ষিত পরিচয়পত্র বলাই যায়।
কারা পেতে পারেন এই কার্ড?
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, যেকোনও ভারতীয় নাগরিক যার নাম ভোটার লিস্টে রয়েছে, তিনি এই PVC ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাঁদের কাছে আগেই ভোটার কার্ড রয়েছে, তাঁরা চাইলে নতুন মডেলে আপগ্রেড করতে পারবেন। আবার যাঁরা প্রথমবার ভোটার কার্ড বানাচ্ছেন, তাঁরাও সরাসরি PVC কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত একটাই—আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
আবেদন করার পদ্ধতি
এই কার্ডের জন্য আবেদন করার দুটি উপায় রয়েছে—অনলাইন ও অফলাইন।
- অনলাইন আবেদন করতে হলে প্রথমে যেতে হবে www.nvsp.in ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে ‘New Voter Registration’ অথবা পুরনো কার্ড আপগ্রেড করার জন্য ‘Form 8’ পূরণ করতে হবে। এরপর অনলাইনে ২৫ টাকা ফি জমা দিলেই আবেদন সম্পূর্ণ হবে।
- অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে নিকটবর্তী Election Office বা Common Service Centre (CSC)-তে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি যেমন আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো এবং পুরনো ভোটার আইডি (যদি থাকে) জমা দিতে হবে।
কবে পাওয়া যাবে নতুন কার্ড?
আবেদন জমা দেওয়ার পর ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ডাকযোগে বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নতুন PVC ভোটার আইডি কার্ড। অনলাইনে আবেদন করলে আবেদনটির অবস্থা ট্র্যাক করার সুবিধাও থাকছে। পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করেছে নির্বাচন কমিশন।
কেন প্রয়োজন এই নতুন কার্ড?
ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ড এখন পরিচয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া পর্যন্ত সর্বত্রই এই পরিচয়পত্র অপরিহার্য। ফলে নতুন PVC কার্ড কেবল আধুনিক লুকই দিচ্ছে না, বরং দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।