অতীতে ভারতীয় জনগণ খুব একটা বীমা নিয়ে সচেতন ছিল না। তবে এখনকার দিনে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখার পরে সবার মধ্যেই এখন একটা চিন্তা কাজ করছে। এখন স্বাস্থ্য বীমা বা ইন্সিওরেন্স কভারের বিষয়ে খুব একটা মানুষকে আর কিছু বোঝাতে হয় না। এখন সকলেই এই ব্যাপারে জানতে চান। যদিও ব্যয়বহুল বীমার কিস্তির কারণে শেষ পর্যন্ত বীমা থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে এবারে দেশবাসীর এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবারে বিমান নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ ডাক বিভাগের তরফ থেকে এই ব্যাংকিং সার্ভিসটি প্রোভাইড করা হয় এবং পোস্ট অফিসে গিয়ে আপনি ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকিং করতে পারবেন।
ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংক একটি বিশেষ গ্রুপ দুর্ঘটনা সুরক্ষা বীমা নিয়ে এসেছে যে স্কিমের আওতায় আপনি মাত্র ২৯৯ এবং ৩৯৯ টাকা প্রিমিয়াম সহ বছরে ১০ লক্ষ টাকার বীমা কভারেজ পেতে পারেন। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং টাটা এআইজি লাইফ ইন্সুরেন্স এর মধ্যে এই নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা এই গ্রুপ দুর্ঘটনা বীমা কভারের সুবিধা নিতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে উভয় বীমা কভারে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, স্থায়ী বা আংশিক বা সম্পূর্ণ অক্ষমতা, পক্ষাঘাতগ্রস্তরা ১০ লক্ষ টাকার বীমা কভারেজ পেয়ে যাবেন। তবে এক বছর শেষ হবার পরে এই বীমাটি পরের বছর রিনিউ করতে হবে। এর জন্য ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের সুবিধাভোগীর একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবেই।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই বিমার সব থেকে ভালো বিষয়টি হলোযেকোনো দুর্ঘটনার কারণে আপনি যদি হাসপাতালে ভর্তি হন তাহলে চিকিৎসার জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিডি খরচ পেয়ে যাবেন এবং ওপিডি খরচ পাবেন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একই সময় ৩৯৯ টাকা প্রিমিয়াম বীমায় সমস্ত সুবিধা ছাড়াও দুই সন্তানের জন্য এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। তার সঙ্গেই দশ দিনের জন্য হাসপাতালে ১ হাজার টাকা দৈনিক খরচ পাওয়া যাবে।
পরিবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিবহন খরচ, অন্য কোন শহরে বসবাস এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে শেষকৃত্যের জন্য ৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ পেয়ে যাবেন বীমাকারি। এই বীমা সুবিধায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য আগ্রহীরা কাছের পোস্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।