স্বাধীনতা দিবসের আগে খুশির খবর দেশবাসীর জন্য। সসম্মানে প্রথম ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হল ভারতে তৈরি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের কো-ভ্যাকসিন। গত মাসে ৩৭৫ জনের শরীরে কোভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়াল শুরু করা হয়। আজ ট্রায়ালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কারোর শরীরেই কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেলেনি, সকলেই স্বাভাবিক অবস্থায়।
কোভিড ১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে মাসখানেক ধরেই চলছিল ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা। অনেকেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করে এলেও শেষ পর্যন্ত সফলতা আসছিল না কোনো পক্ষেই। যেনতেনপ্রকারেণ ভ্যাকসিন বের করে কোনোরকমে গোটা পৃথিবীর বাজার ধরতে পারার স্বপ্নে মশগুল হয়ে ছিল প্রায় গোটা ইওরোপ। আমেরিকা-চিন- রাশিয়ার মধ্যে টক্কর চলছিল দেখার মত।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅবশ্য দিন দুই আগে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পৃথিবীর প্রথম করোনা ভ্যাকসিন রেজিস্টার্ড করে চমকে দিয়েছে রাশিয়া। যেনতেন ভাবে লঞ্চ করা এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে WHO কিংবা বেশ কিছু দেশ সন্তোষ প্রকাশ না করলেও মাসখানেকের মধ্যেই ভ্যাকসিনটি বাজারে আনতে মরিয়া রাশিয়া।
এই সবের মধ্যে খবর থেকে দূরত্ব বজায় নিয়েই ছিল ভারতজাত কো ভ্যাকসিনের আপডেট। আজ ভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়ালের ১০০ শতাংশ সাফল্য দেখে যথেষ্ট আশাবাদী AIIMS।
দেশের চিকিৎসক মহলও খুশি এই খবরে। সূত্রের মারফত জানা যাচ্ছে ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে মৃত কিল্ড ভাইরাস থেকে, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত কম। অন্যদিকে বিদেশের ভ্যাকসিনগুলো জীবন্ত অ্যাডেনো ভাইরাস থেকে তৈরি হচ্ছে, যার ফলে এই ভ্যাকসিনে রয়েছে মানবশরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বহুল সম্ভাবনা। শুধু তাই নয়, তাঁদের বক্তব্য ভারত অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। রাশিয়া যেখানে মাত্র ৩৮ জনের উপর ট্রায়াল করার পরপরই ভ্যাকসিন রেজিস্টার্ড করে নিয়েছে, সেখানে ভারত প্রথম ট্রায়াল করেছে রাশিয়ার চেয়ে ১০ গুণ বেশি মানুষ নিয়ে।
জানা যাচ্ছে ভারত বায়োটিক কোম্পানির তৈরি এই কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাসে। অবশ্য সফল হলে এই বছরের মধ্যে বাজারমুখী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের এক অংশ মনে করেন সমস্ত প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে পা রাখবে ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিন।