আর মাত্র একটি ম্যাচে জয়, তবেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হতো ভারতের নামে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত যে কাজ কেউ করে দেখাতে পারেনি সেটাই করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল ব্লু-বাহিনীর সামনে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে টানা ১২ ম্যাচ জিতে যুগ্মভাবে আফগানিস্তানের সাথে সারিতে থেকে যেতে হলো ভারতকে। ইতিপূর্বে, ২০১৭-২০১৯ সালের মধ্যে আফগানিস্তান টানা ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে বিশ্ব রেকর্ড নিজেদের নামে করে রেখেছিল।
গতকাল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুনভাবে ভারতের নাম লেখার সুবর্ণ সুযোগ ছিল ঋষভ পন্থের কাছে। সেইমতো শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত বোলাররাই ডুবিয়ে দেয় ভারতকে। ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই তুলে নেয় প্রোটিয়া বাহিনী।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ঈশান কিশানের জুটিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ঋতুরাজ সাজঘরে ফিরলেও ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ঈশান কিশান। তাছাড়া দলের হয়ে শ্রেয়াস আইয়ার ব্যক্তিগত ৩৬ এবং অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। শেষে মাত্র ১২ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সর্বসাকুল্যে নির্ধারিত ওভার ব্যাটিং শেষে ভারত ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
২১২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমেই অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট হারিয়ে ফেলে। এমনকি পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ভারতের নিয়ন্ত্রনহীন বোলিং এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মিস ফিল্ডিং ভারতকে ডুবিয়ে দেয়। রাসি ভ্যান ডের ডুসেনের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন শ্রেয়াস আইয়ার। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ৭৫ রানের ঝাঁ-চকচকে ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তাছাড়া আইপিএল এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ডেভিড মিলার ৩১ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
২১২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেও বোলারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বোলিং শেষমেষ ডুবিয়ে দেয় ভারতকে। আক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার এমনকি হার্সেল প্যাটেল নিজেদের ব্যক্তিগত ওভার শেষ করতে ৪০ ঊর্ধ্ব রান খরচ করেন। অন্যদিকে চতুর চাহাল ২ ওভারে ২৬ এবং হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র এক ওভার বোলিং করে ১৮ রান খরচ করেন। বেপরোয়া বোলিংয়ের কারণে বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেও ভারত ৭ উইকেটে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়।