Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

এই ৫টি নগদ লেনদেনে নোটিশ পাঠাবে আয়কর দপ্তর, পড়তে হতে পারে জেরার মুখেও, জানুন বিস্তারিত

গত কয়েক বছরে আয়কর বিভাগ এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম যেমন ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড হাউস এবং ব্রোকার প্লাটফর্ম সাধারণ জনগণের জন্য লেনদেনের নিয়মকে আরো কঠোর করে দিয়েছে। এখন এই বিনিয়োগ এবং…

Avatar

গত কয়েক বছরে আয়কর বিভাগ এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম যেমন ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড হাউস এবং ব্রোকার প্লাটফর্ম সাধারণ জনগণের জন্য লেনদেনের নিয়মকে আরো কঠোর করে দিয়েছে। এখন এই বিনিয়োগ এবং ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র একটি সীমা পর্যন্ত নগদ লেনদেনের অনুমতি দিয়ে থাকে। এই সীমা সামান্যতম লংঘন হলেও আয়কর বিভাগের তরফ থেকে একটা নোটিশ আসতে পারে সেই ব্যক্তির কাছে। এই মুহূর্তে ভারতে এমন অনেক লেনদেন রয়েছে যা সরাসরি আয়কর দপ্তরের দ্বারা পর্যবেক্ষিত হয়। আপনি যদি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড ব্রোকারেজ হাউস এবং সম্পত্তি নিবন্ধকের সাথে বড় নগদ লেনদেন করে থাকেন তাহলে আয়কর বিভাগের কয়েকটা নিয়ম আপনাকে জেনে নিতে হবে।

১. ব্যাংকের ফিক্স ডিপোজিট এর নিয়ম

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

ব্যাংকের ফিক্স ডিপোজিটে নগদ জমা ১০ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবেনা কখনোই। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস ঘোষণা করেছে, ব্যাংকগুলিকে এই তথ্য প্রকাশ করতে হবে, যে কোন ব্যক্তি স্থায়ী আমানতের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন কিনা। যদি কোন ব্যক্তি এই সীমা অতিক্রম করেন তাহলে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে যাবে নোটিশ।

২. ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট

একটি ব্যাংক একাউন্টে নগদে জমার সর্বোচ্চ সীমা হল ১০ লক্ষ টাকা। যদি কোন সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা করে ফেলেন তাহলে আয়কর বিভাগের তরফ থেকে ওই ব্যক্তির কাছে নোটিশ পাঠানো হবে। যদি কোন একাউন্টে, ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা হয় তাহলে সেই ব্যাংকের তরফ থেকে আয়কর বিভাগের কাছে এই ব্যাপারটা জানাতে হবে। অন্যদিকে, কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে এই সর্বাধিক মূল্য হল ৫০ লক্ষ টাকা।

৩. ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট

CBDT এর নিয়ম অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ড বিল হিসেবে যদি ১ লক্ষ বা তার বেশি টাকা পেমেন্ট করা হয় তাহলে ইনকাম ট্যাক্সের কাছে সেই ব্যাপারে জানাতে হবে। অন্যদিকে যদি এক বছরে ক্রেডিট কার্ডের বিল হিসেবে ১০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা জমা করা হয় তাহলে, সমস্ত বিল পেমেন্টের হিসাব আয়কর দপ্তরের কাছেই জানাতে হবে।

৪. রিয়েল এস্টেট কেনা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে কি নিয়ম

সম্পত্তি রেজিস্টারকে ৩০ লক্ষ বা তার বেশি টাকার স্থাবর সম্পত্তির কোন বিনিয়োগ বা বিক্রয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করতে হবে। অতএব কোন রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে করদাতাদের নগদ লেনদেন ফর্ম 26AS এ রিপোর্ট করতে হবে।

৫. শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার এবং বন্ডে বিনিয়োগ

মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে বিনিয়োগগুলিতে লেনদেন একটি আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি না হয়ে যায়। এর থেকে বেশি নগদ লেনদেন হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আয়কর দপ্তরের কাছ থেকে নোটিশ পাবেন ওই ব্যবহারকারী। সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই বন্ড বা ডিবেঞ্চারে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

About Author