কয়েক মাস আগে সাংবিধানিক সংস্কারের দাবি তুলে তোলপাড় চালিয়েছিলেন কপিল সিব্বল। এইবার বিহারে দলের শোচনীয় ফল নিয়ে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় তার দিকে বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা দিল প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিহার নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কপিল সিব্বলের প্রকাশ্য সমালোচনায় তেতে উঠলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন,”এভাবে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার কি কোনও মানে হয়? কিছু নেতার যদি মনে হয় যে কংগ্রেস তাদের জন্য আদর্শ দল নয়, তবে তারা নিজের দল তৈরি করুন অথবা এমন কোনও দলে যান যেটি আপনার জন্য ঠিকঠাক হবে। কিন্তু এভাবে দলকে বারবার বিড়ম্বনায় ফেলা তো ঠিক নয়। কারণ কিছু নেতার এমন কার্যকলাপ দেশে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিচ্ছে।”
অধীরবাবু এইদিন আরও বলেন,”এইসব নেতারা আবার গান্ধী পরিবারের ধনিষ্ঠ। তারা তাদের অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তুলতে পারেন। ওই সব নেতারা দলের পুনর্গঠনে মনযোগী হলে আজ মাঠে এসে লড়তেন। না, তারা তাই করেন না। বিহার নির্বাচনেও তারা মাঠে নামেননি।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনে মহাজোটের অংশ ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেখানে কংগ্রেসের ভাগ্যে জোটে ২০ টি আসন। এইনিয়ে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে তেজস্বী যাদবের দলে। দলের নেতাদের মতে, এই সব আসনে আরজেডি নিজে লড়লে অনেকটা বেশি আসন চলে আসতো। সরকার গঠনের দিকেও থাকত না কোনও বাধা।
এই বিষয়টি নিয়েই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে নেতা কপিল সিব্বলকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে সিব্বল বলেন,কংগ্রেস ডুবতে চলেছে। তাদের আত্মসমীক্ষার সময়ও শেষ। এখন সমস্ত নেতার দলের এই পরিস্থিতি স্বীকার করে নেওয়া উচিৎ। দলে এই নিয়ে বলার কোনও জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে বলতে চলেছে। বলা বাহুল্য, বিহার ভোট নিয়ে এখনও কিছু বলতে দেখা যায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সিব্বলের ওই মন্তব্যের পর তার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি বলেন,” দলের ভিতরের এমন সমস্যা সবার সামনে তুলে ধরার কোনও মানে হয়না।”