মেমু ট্রেনে নতুন দিশা, সপ্তাহে ছ’দিন হাওড়া-পুরুলিয়া রুটে পরিষেবা

সপ্তাহের শুরুতেই রেলযাত্রীদের জন্য এল এক খুশির খবর। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ, সোমবার থেকেই চালু হল হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু ট্রেন। মশাগ্রাম হয়ে এই ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু সময় বাঁচবে না, হাওড়া ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলার সংযোগও আরও মজবুত হবে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে।

কোন রুটে চলবে নতুন ট্রেন?

পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন মেমু ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে। কর্ড লাইন ধরে ট্রেনটি যাবে মশাগ্রাম, সেখান থেকে ইন্দাস, পাত্রসায়র, বাঁকুড়া হয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছবে পুরুলিয়ায়। বিপরীত দিকে, মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল ভোর ৪টেয় পুরুলিয়া থেকে ছাড়বে এই ট্রেন। মশাগ্রাম হয়ে এটি হাওড়ায় পৌঁছবে দুপুর ১১টা ৪০ মিনিটে।

এই ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলবে। শুধুমাত্র শুক্রবার বিকেলে হাওড়া থেকে এবং শনিবার সকালে পুরুলিয়া থেকে এর পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

হাওড়া-শেওড়াফুলি রুটেও কি চলবে এই ট্রেন?

সবচেয়ে বড় চমক, এই নতুন মেমু রেকটিকে লোকাল ট্রেন হিসেবেও ব্যবহার করার কথা ভাবছে রেল। দুপুরের সময় হাওড়া থেকে শেওড়াফুলি রুটে একবারের জন্য এই ট্রেনকে লোকাল হিসেবে চালানো হতে পারে। আট কোচের এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের একাংশের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, যেখানে সাধারণত ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চলে, সেখানে ৮ কোচের ট্রেনে ভিড় সামলানো কঠিন হবে।

রেল অবশ্য জানিয়েছে, এই প্রস্তাব এখনও ভাবনাচিন্তার স্তরেই রয়েছে। কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কোন বিভাগের অধীনে চলবে এই ট্রেন?

হাওড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত রুটে পরিষেবা এবং পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে পূর্ব রেলের ওপর। মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল ও যাত্রী পরিষেবার দায়িত্বে থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। মেমু রেকটির রক্ষণাবেক্ষণ হবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টিকিয়াপাড়া কারশেডে।

রেল মনে করছে, এই নতুন ট্রেন একাধিক জেলার মানুষের যাতায়াতে নতুন দিশা এনে দেবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের দিক থেকেও ট্রেনটি হয়ে উঠতে পারে একটি জীবনরেখা।

পাঠকদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:

১. কবে থেকে হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু ট্রেন চালু হল?
– সোমবার, অর্থাৎ আজ থেকেই ট্রেনটি চালু হয়েছে।

২. সপ্তাহে কতদিন চলবে এই ট্রেন?
– সপ্তাহে ছয় দিন পরিষেবা পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র শুক্রবার বিকেল ও শনিবার সকাল বাদ থাকবে।

৩. ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে থামবে?
– মশাগ্রাম, ইন্দাস, পাত্রসায়র, বাঁকুড়া সহ একাধিক স্টেশনে থামবে ট্রেনটি।

৪. নতুন রেককে লোকাল ট্রেন হিসেবে চালানো হবে কি?
– এই পরিকল্পনা এখনও চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে, কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

৫. কোন রেল বিভাগের অধীনে পড়ে এই ট্রেনের পরিষেবা?
– পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যৌথ পরিচালনায় চলবে ট্রেনটি।