Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বাংলায় হাজির মারন ছত্রাক ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’, কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সঙ্গে সঙ্গেই গোদের ওপর বিষফোড়ার মত উদ্ভব হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামের একটি রোগের। এই ফাঙ্গাসের নাম আদতে মিউকোরোমাইকোসিস। এতদিন পর্যন্ত বেঙ্গালুরু সহ ভারতের অন্যান্য জায়গায় শোনা যাচ্ছিল…

Avatar

By

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সঙ্গে সঙ্গেই গোদের ওপর বিষফোড়ার মত উদ্ভব হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামের একটি রোগের। এই ফাঙ্গাসের নাম আদতে মিউকোরোমাইকোসিস। এতদিন পর্যন্ত বেঙ্গালুরু সহ ভারতের অন্যান্য জায়গায় শোনা যাচ্ছিল এই ফাঙ্গাসের আক্রমণের ঘটনা। কিন্তু এবারে সরাসরি এই আক্রমণের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল বাংলায়। ব্ল্যাক ফাংগাসের প্রকোপ থেকে বাংলার সকলকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও হলো না শেষ রক্ষা।

জানা গেছে সম্প্রতি ঝাড়খন্ড ও বিহার থেকে চিকিৎসা করাতে ৩জন পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। তাদের দেহে এই মারন ছত্রাকের হদিস পেয়েছি আমরা। ঝাড়খন্ড এবং বিহার থেকে ৩ জন চোখের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। ৩৫ এবং ৫০ বছরে দুই ব্যক্তি এসেছিলেন ঝাড়খন্ড থেকে এবং ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এসেছিলেন বিহার থেকে। এদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হদিশ পাওয়া গেছে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

চোখের সমস্যা নিয়ে প্রথমে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের ওই দুই ব্যক্তি। নিউটাউনে ওই হাসপাতালের একটি শাখা রয়েছে। সেখানে অপর একজন ব্যক্তি পৌঁছান চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য। ডাক্তারের রেগুলার চেকআপের সময় ধরা পড়ে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে, শুধু করোনা না, তারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে খবর মিলেছে।

ইতিমধ্যেই গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ মোট ৫ রাজ্যে এই ছত্রাকের প্রভাব লক্ষিত হয়েছিলো। তারপরে এবারে বাংলায় এসে হাজির হলো এই মারন ছত্রাক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যারা উচ্চ ডায়াবেটিক রোগী এবং যাদের দেহে করোনা সংক্রমণ রয়েছে তাদের দেহে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণ করছে। তবে কিছুটা আশার ব্যাপার হলো এই রোগটি কিন্তু একেবারেই ছোয়াচে নয়। তবে এই রোগের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে।

উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে নিঃশ্বাসে সমস্যা, দাঁতে যন্ত্রণা, মাথা ব্যাথা করা, রক্তবমি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, নাকের উপরের দিকে কালো হয়ে যাওয়া সহ আরো অনেক কিছুই। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনার দেহেও এরকম কিছু উপসর্গ চোখে পড়ে তাহলে তৎক্ষণাৎ পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।

যে সমস্ত টেস্ট করতে বলা হবে সেগুলি করুন। এই শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাইক্রোস্কপি, ফাঙ্গাস কালচার, এবং ফাঙ্গাস কেওএইচ স্টেনিং। যদি কখনো ধুলোবালি যুক্ত জায়গায় যান তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। কখনোই মাটিতে বা নোংরায় হাত দেবেন না। নিজেকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে ফুল হাতা জামা কাপড় ব্যবহার করুন। পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিয়মিত স্নান করুন।

About Author