করোনা ভাইরাস সংক্রমন লাফিয়ে বাড়ছে ভারতের বুকে। গতবছরের সংক্রমনের ভয়ংকরতা ছাপিয়ে গেছে চলতি বছরের সংক্রমণ। বছরের প্রথম দিকে করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে গেলেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে প্রায় লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এখন দৈনিক ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল বাংলাও।প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ হার এবং মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে এবং মৃত্যুহার সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত অশান্তি খবরের শিরোনামে আসছে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের অধিকার নিয়ে।
সমস্যা সমাধান করতে আজ অর্থাৎ শনিবার রাজ্য সরকার একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যেখানে মৃতদেহ সৎকার করার নিয়ম সম্বন্ধে বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, “করোনায় মৃত দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে তা শর্তসাপেক্ষ। শর্ত অনুযায়ী, পরিবার দেহকে হাসপাতাল থেকে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে পারবে না। ওই এলাকার আশেপাশে কোথাও থাকে দাহ করতে হবে বা কবর দিতে হবে। দাহ বা কবর দেওয়ার আগে সরকারি আধিকারিকের সাথে কথা বলে নিতে হবে। এছাড়া কেউ যদি নিজের বাড়ির কাছাকাছি সৎকার করতে চায় তাহলে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি শ্মশানে বা কবরস্থানে নিয়ে যেতে হবে। মাঝখানে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া চলবে না। সেই কাজ করতে কেটে ব্লক স্তরে নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি অধিকারীর সাথে কথা বলে নিতে হবে।’
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও আজ বলা হয়েছে যে কোনো রোগীকে হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় আনা হলে রোগীর চিকিৎসা করার পাশাপাশি তিনি করোনা আক্রান্ত নাকি তা আগে পরীক্ষা করতে হবে। আসলে মৃত্যু হলে দেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেই জটিলতা কাটাতেই আগে থাকতে করোনা পরীক্ষা করে নেওয়া হবে।