ভারতের ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্পে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রতিযোগিতা। পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিকল্পের খোঁজে ক্রমেই বেশি মানুষ ঝুঁকছেন ইলেকট্রিক টু-হুইলার বা ই-বাইকের দিকে। এবার সেই বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে জাপানি সংস্থা হোন্ডা। শিল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, হোন্ডার নতুন ইলেকট্রিক সাইকেল আগামী মাসেই ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি, তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই ই-বাইক ব্যবহারকারীদের জন্য হতে চলেছে এক বড় চমক।
ব্যাটারি ও চার্জিং ক্ষমতা
নতুন সাইকেলে থাকবে একটি শক্তিশালী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী, একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি সহজেই ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগবে মাত্র ৬০ থেকে ৯০ মিনিট। দৈনন্দিন যাতায়াত কিংবা দীর্ঘ সফরের জন্য এটি ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগতি ও নিরাপত্তা
সাইকেলটির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার। শহরের ট্রাফিক, অফিস বা কলেজ যাতায়াতের জন্য এটি যথেষ্ট কার্যকরী হতে পারে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সামনে ও পিছনে দেওয়া হয়েছে ডিস্ক ব্রেক, যা ব্রেকিং সিস্টেমকে আরও উন্নত করবে।
আধুনিক ফিচার
ডিজাইনের পাশাপাশি হোন্ডা এবার প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যেও চমক দিতে চলেছে। হ্যান্ডেলে থাকবে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে মিটার, যেখানে দেখা যাবে গতি, ব্যাটারির অবস্থা, সময় এবং আরও নানা তথ্য। সংযোগ সুবিধার মধ্যে থাকবে Bluetooth কনেক্টিভিটি, মিউজিক সিস্টেম, GPS সাপোর্ট, টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, কী-লেস এন্ট্রি ও কী-লেস স্টার্ট/স্টপ। এছাড়াও থাকছে অ্যান্টি-থেফট সিস্টেম, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুরক্ষার বাড়তি নিশ্চয়তা দেবে।
দাম ও লঞ্চের সম্ভাবনা
শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, হোন্ডার এই ইলেকট্রিক সাইকেলের দাম রাখা হতে পারে প্রায় 15,000। ই-বাইকের বাজারে এটি একটি সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। যদিও কোম্পানির পক্ষ থেকে সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, তবে আগামী মাসেই এটি লঞ্চ হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ভোক্তাদের প্রত্যাশা
ইলেকট্রিক বাইক বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা নানা মডেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী খরচের কারণে সাধারণ মানুষ এখন ই-বাইককে ক্রমেই গ্রহণ করছে। হোন্ডার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই ক্ষেত্রে প্রবেশ করলে, বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়বে, তেমনই ভোক্তারা পেতে পারেন আরও উন্নত মানের বিকল্প।