গতকালই করোনা আবহে ইউজিসির নতুন নিয়ম করা সত্ত্বেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ। হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়েই আজ কলেজে ক্লাস রুমে বসে হয় পরীক্ষা পর্ব। অবশ্য কলেজের যুক্তি অনেক ছাত্র-ছাত্রী যাদের ইন্টারনেট সমস্যা রয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন নেই তাই তাদেরকে কলেজে বসে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু এই খবর দেখানোর পর উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও তরফে কলেজ অধ্যক্ষের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গোটা ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইউজিসি একাধিক বার একাধিক মত দিলেও ইউজিসির তরফে কিছু দিন আগেই বলা হয়েছে ২০২১‐২২ শিক্ষাবর্ষের পঠন পাঠনের ক্ষতি আটকাতে প্রয়োজন হলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
অন্য দিকে আবার এটিও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারবে না বা পয়লা নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করতে পারবে না। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু করতে হবে ১৮ নভেম্বরের পরের দিক থেকে।
ইউজিসির গাইডলাইনে জানানো হয়েছে পয়লা নভেম্বর থেকে প্রথম সেমিস্টার বা প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের। প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ভর্তির প্রক্রিয়ায় প্রথম বর্ষের অক্টোবর মধ্যেই শেষ করতে হবে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস নেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্যান্য কলেজগুলিতেও এদিন পরীক্ষা হয়।
কলেজ অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি শুক্রবার বলেন ” উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। আমি যা জানানোর জানিয়েছি। আইনের বিরুদ্ধে বা নিয়মের বাইরে আমি কোনও কিছুই করিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বা সরকারের থেকে এমন কোনও নির্দেশিকা আসেনি যেখানে বলা হয়নি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।”














New Movies to Watch This Weekend — ‘The Running Man,’ ‘One Battle After Another,’ ‘Nobody 2’ Drop Big Releases