নিউজরাজ্য

ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, কলকাতায় শুরু হল তুমুল ঝড় বৃষ্টি

অশনি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন

Advertisement
Advertisement

এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। কিন্তু তার মধ্যে ইতিমধ্যেই কলকাতায় শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল ঝড় বৃষ্টি। সকালে শহর কলকাতায় রোদের দেখা মিললেও তিলোত্তমার আবহাওয়া মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে যায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর সকালেই। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবাংলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে অশনি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সোমবার দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ঠিক কি কি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কিভাবে কাজ করা হবে সেই নিয়ে হতে পারে বৈঠক।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর বর্তমানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় এর আকার ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘন্টায় ২১ কিলোমিটার বেগে ক্রমশ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে পুরি থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার রাত্রি পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে উত্তর অন্ধ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে এই ঘূর্ণিঝড়।

Advertisement

তারপর পদ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পূর্ব দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উড়িষ্যা উপকূলের ওপর অবস্থান করবে। সেখানেই সম্ভাবনা আছে উড়িষ্যায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সর্বাধিক হবে। অন্যদিকে অশনি প্রভাবে আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি ভিজতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।

Advertisement
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে যেতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুব একটা বেশি না পড়ে তার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। সোমবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। কোথায় কিভাবে আগাম সর্তকতা নেওয়া প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করা হবে সেই নিয়ে হতে পারে বৈঠক। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন এবং কাকদ্বীপের মত উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বাংলা এবং উড়িষ্যা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা এই মুহূর্তে সমুদ্রে রয়েছেন তাদের ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে কৃষি দপ্তর এর তরফ থেকেও কিছু বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button