শিবজায়া পার্বতী হলেন স্বয়ং আদিশক্তি মহামায়া। কখনও তিনি দুর্গা, কখনও করালবদনা মহাকালী, কখনও দক্ষতনয়া সতী, কখনও ভক্তের সকল মনসকমনা পূর্ণ করার অভিপ্রায় সিদ্ধিদাত্রী রূপে জগৎবিখ্যাতা হন। তাই এই অসীম, অখন্ড শক্তির আছে শুধু রূপান্তর, নেই সৃষ্টি, নেই লয়। এই পরাশক্তির ষষ্ঠ রূপ হচ্ছে দেবী কাত্যায়নী। দেবীর এই রূপের বিবরণ অনন্ত নীল গগনের সম। দেবীর স্নিগ্ধ দৃষ্টি সূচিত করে এক শুভ লগ্ন, এক শুভ মুহূর্ত। পুরাণ মতে দেবী ঋষি কাত্যানের আশ্রমে আবির্ভূতা হয়েছিলেন বলে তাঁর আরেক নাম কাত্যায়নী।
আজ মহাষষ্ঠী। বাঙালির দুর্গাপূজার প্রথম দিন। আজ দেবীর বোধন। গৃহে গৃহে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক বিপুল আয়োজন ধূপধুনো, ঢাক ও কাসর ঘন্টার শব্দের মাঝে। সাথে রয়েছে বৈদিকমতে মন্ত্রউচ্চারণের এক অপরিহার্য অঙ্গ। এই দেবীই হচ্ছেন মূলত দশভূজা দেবী দুর্গা। শরতের সকল আজ আনন্দে আপ্লুত। ভক্তদের উৎসাহও কিছু কম নয়। তবে “মা”, তিনি তো সকল আত্মায়ে বিরাজমান। তাই তাঁকে অন্তরে দর্শন করতে হবে। সকল অহংকার, পাপ, বৈষয়িক বুদ্ধি তাঁর পদতলে অর্পণ করতে হবে। এবং প্রার্থনা করে চাইতে হবে”হে মা, আমায় রূপ দাও, যশ দাও ও আমার সকল শত্রু কর তুমি নিধন”!!
Written by – কুণাল রায়