আজ থেকে শুরু মহাকাশ সপ্তাহ! জেনেনিন মহাকাশের কিছু টুকিটাকি তথ্য

Advertisement

Advertisement

” অসীম আকাশে অগণ্য কিরণ কত গ্রহ-উপগ্রহ
কত চন্দ্র তপন ফিরিছে বিচিত্র আলোক জ্বালায়ে”

Advertisement

মহাকাশ সম্পর্কে চেতনাগুলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যে ধরা পড়েছিল। মহাকাশে শুধু আমাদের সৌরজগৎ নয় সৌরজগতের মতো আরও লক্ষ কোটি নক্ষত্র তাদের গ্রহ উপগ্রহ নিয়ে যে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই অপরূপ সৌন্দর্য দার্শনিক অন্তদৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন। মহাবিশ্বের যাবতীয় চেতন ও অচেতন বস্তুর পেছনে কি কেন কোথায় কিভাবে প্রশ্নমালা নিয়ে নিরন্তর সত্যের সন্ধানে রত ছিল তার মন।

Advertisement

জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি কবির আকর্ষণ ছিল আশৈশব মাত্র 12 বছর বয়সে বাবা সঙ্গে ডালহৌসি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে সন্ধ্যেবেলা ডাকবাংলোর আঙিনায় বসে গ্রহ নক্ষত্র চিনতেন আর সেখান থেকেই উৎপত্তি মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্ব জ্যোতিষ্ক মন্ডলী গতিবিধি সংক্রান্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সূক্ষ্ম হিসেব প্রশ্ন কবিতায়-

Advertisement

“চতুর্দিকে বহ্নিবাষ্প শূন্যাকাশে ধায় বহুদূরে
কেন্দ্রে তার তারাপুঞ্জ মহাকাল চক্রপথ ঘুরে।
কত বেগ কত তাপ কত ভার কত আয়তন
সূক্ষ্ম গগন।। “

তবে শুধু কবি নন মহাকাশ আমাদেরও আকর্ষিত করে কোথা থেকে উৎপত্তি কত রকম রহস্য আবৃত এই মহাকাশ এসবের আগ্রহ আমাদেরও। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলেন প্রায় পৌনে চৌদ্দশ কোটি বছর আগে মহাবিস্ফোরন এর মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের সূচনা ঘটেছিল। আদিলগ্নে একটি বিন্দুর আকারে এর অবস্থান ছিল। একটি বেলুন ফোলানোর আগে তার গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে কালির কয়েকটি ফোটা দিলে একটি বিন্দুর মতো দেখাবে এরপর বেলুনটিতে ফুলাতে শুরু করলে বিন্দুগুলি ক্রমে বড় হতে থাকবে এবং একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে মহাশূন্যে নীহারিকা ছায়াপথ তারা প্রকৃতির সৃষ্টির বিকাশ এভাবেই ঘটেছিল।

মহাবিশ্বের জন্ম নিয়ে একটি তত্ব হল বিগ ব্যাং থিওরি। এই তত্ত্বে বলা হয় প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের পর বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি হয়েছিল বিজ্ঞানীদের মতে মহাজগতের সবকিছু সৃষ্টি হওয়ার আগে অসম্ভব রকমের দ্রুতগতিতে মহাকাশ সম্প্রসারিত হয়েছিল। কোটি কোটি বছর আগের সেই ঘটনায় যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল সেসব কিছুই হয়েছিল 1 সেকেন্ডেরও কম সময়ে।সে সময় আলোর যে ঢেউ তৈরি হয়েছিল প্রাথমিক সেই বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে এক আলোর তরঙ্গ। আর এর কারণেই মহাকর্ষনে সৌরজগতের নক্ষত্র গ্রহ সবকিছু একে অপরকে ধরে রেখেছে।

মহাকাশে নীহারিকার অস্তিত্ব নিয়েও কবি লিখেছেন –
“ওই যে সুদূর নীহারিকা…আলো হতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি..”

Written by – দেবস্মিতা ধর

Recent Posts