কৌশিক পোল্ল্যে: টলিপাড়ার বস তিনি। তাকে একডাকে সবাই চেনে জিতু দা নামেই। টানা ১৭ বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন। মূলত বানিজ্যিক ছবির কান্ডারি তিনি। প্রসেনজিৎ পরবর্তী সময়ে বাংলা বানিজ্যিক ছবির হাল ধরে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, নামে পাশে পেয়েছেন সুপারস্টার তকমা। 2003 এর সাথী ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু। এরপর নাটের গুরু, বন্ধন, হিরেমানিক, যুদ্ধ, ঘাতক, শুভদৃষ্টি, দুই পৃথিবী, সাত পাকে বাঁধার মতো হিট ছবির সাক্ষী তিনি। তার কেরিয়ারের বেশিরভাগ ছবি অভিনেত্রী কোয়েলের সঙ্গে। এরা দুজনেই বড়পর্দায় আসা মানেই ছবি হিট হবার সম্ভাবনাও প্রবল হয়ে ওঠে।
এরপর নানা কারনে ভেঙে যায় এই জুটি। জিৎ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জীর সঙ্গে যার জেরে সেসময় স্বস্তিকার বিপরীতে তার বেশ কয়েকটি ছবি বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর জিৎ নুসরত, শুভশ্রী ও শ্রাবন্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেকগুলি হিট ছবি দেন যেমন, শত্রু, ফাইটার, বস, দিওয়ানা এবং সায়ন্তিকার বিপরীতে আওয়ারা ছবিটি অলটাইম ব্লকবাস্টার ভার্ডিক্ট পায়। পরবর্তীতে কোয়েলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ ও ‘শেষ থেকে শুরু ’ ছবিতে। যদিও 2011 সালে জিৎ বিয়ে করেন মোহনাকে। কলকাতার নিক্কোপার্ক রিসোর্টে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ নয়বছর তারা সুখেস্বাচ্ছন্দ্যে ঘরসংসার করছেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গতকাল 24শে ফেব্রুয়ারি ছিল তাদের নবম বিবাহ বার্ষিকী, সেই উপলক্ষ্যে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে করলেন এক সুন্দর পোস্ট।
আরও পড়ুন : প্রভাস নয়, এই ভারতীয় ক্রিকেটারের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘দেবসেনা’ অনুষ্কা
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করলেন যেখানে তিনি এবং মোহনা একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘচুম্বনে লিপ্ত। একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছেন এই যুগল। ছবির ক্যাপশনে জিৎ লেখেন, “অনেক সময় এই দীর্ঘচুম্বন বেশ প্রয়োজনীয়, শুভ বিবাহবার্ষিকী”। সুলতান, বাচ্চা শ্বশুর, প্যান্থার, অসুর এর মতো প্রজেক্টে কাজ করেছেন তিনি। জিৎ মাল্টিমিডিয়া নামে তার প্রযোজনা সংস্থাটি তার ছবিগুলির আংশিক ও পূর্ন প্রযোজনা করে। এই ঈদে ‘বাজি’ নামক ছবির কাজের জন্য অভিনেত্রী মিমির সঙ্গে ছবির কথা চলছে। যুগলের রোমান্টিক ছবিটি নীচে আপনার জন্য সাজানো রইল, একবার দেখে নিন।