চুল নিয়ে মানুষের কৌতূহল কখনও শেষ হয় না। লম্বা, ঘন এবং সুন্দর চুল সবারই প্রিয়। বিশেষত মহিলারা চুলকে ঝলমলে রাখার জন্য নানা উপায় চেষ্টা করেন—কখনও দামি তেল ব্যবহার, কখনও পার্লারে ট্রিটমেন্ট। তবুও একটি প্রশ্ন প্রায়শই থেকে যায়—চুল খোলা রাখা ভালো নাকি বেঁধে রাখা ভালো? উত্তরটা নির্ভর করে ভারসাম্যের উপর।
খোলা চুলের ঝুঁকি
যাঁরা সবসময় খোলা চুল রাখেন, তাঁদের জন্য খবরটা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। খোলা চুল সবসময় ধুলো, সূর্য এবং দূষণের সরাসরি সংস্পর্শে আসে। এর ফলে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়, খুশকি, শুষ্কতা এবং চুল ভাঙার সমস্যা বাড়ে। খোলা চুলে সহজেই গিঁট পড়ে যায়, আর আঁচড়ানোর সময় প্রচুর চুল ভেঙে যায়। দীর্ঘ সময় খোলা রাখলে গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ার প্রবণতা বাড়ে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowচুল বাঁধলে কী সুবিধা
অন্যদিকে, চুল আলগা খোঁপা, বিনুনি বা হালকা পনিটেলে বেঁধে রাখলে তা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে। ধুলো-ময়লা বা দূষণ সরাসরি চুলের ক্ষতি করতে পারে না। এতে জট কম হয় এবং ফলিকল শক্ত থাকে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি—খুব শক্ত করে বাঁধা চুলের জন্য ক্ষতিকর। টাইট পনিটেল বা খোঁপা নিয়মিত করলে মাথার ত্বকে চাপ পড়ে, ফলিকল দুর্বল হয়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে।
সঠিক উপায় কী?
চুল গজানো এবং বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল—না সবসময় খোলা রাখা, না আবার বেশি টাইট করে বাঁধা। বাড়িতে থাকলে হালকা বেণী বা ঢিলেঢালা খোঁপা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। রাতে ঘুমোনোর আগে খোলা চুল না রেখে হালকা বেণী করলে চুল জট পাকায় না এবং ভেঙেও যায় না। বাইরে বের হলে স্কার্ফ বা দোপাট্টা দিয়ে চুল ঢেকে রাখলে সূর্যের তাপ ও দূষণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
খাদ্যাভ্যাস ও যত্নের গুরুত্ব
চুলের স্বাস্থ্য শুধু বাহ্যিক যত্নে নয়, সঠিক ডায়েটেও নির্ভর করে। প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর খাবার খেলে চুল ভিতর থেকে শক্ত হয়। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ, সময়মতো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার এবং সঠিক উপায়ে আঁচড়ানো চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
লম্বা ও ঘন চুলের আসল রহস্য হল ভারসাম্য। সারাক্ষণ খোলা রাখা যেমন ক্ষতিকারক, তেমনই বেশি টাইট করে বাঁধাও ঠিক নয়। চুলের যত্নের সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে সহজেই সুন্দর ও মজবুত চুল পাওয়া সম্ভব।