ভাইরাল & ভিডিও

Viral Video: সিঁদুর পরিয়ে শেষ বিদায় প্রেমিকাকে, ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল! জানুন আসল সত্যি

Advertisement
Advertisement

এখন মিডিয়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সবটাই ভরে রয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার পোস্টে। ক্যান্সারের মতো রোগকে দুবার হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তবে এবার সেই মিরাকেল আর ঘটল না। শেষপর্যন্ত দেখা মিলল না সেই চিরপরিচিত হাসিমুখের। দীর্ঘ ২০ দিন মৃত্যুর সাথে কঠিন লড়াই করেছেন অভিনেত্রী। তবে শেষপর্যন্ত সেই লড়াই থামিয়ে, রবিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আর তার মৃত্যুর পরেই তার একাধিক ভিডিও হু হু করে ভাইরাল হতে থাকে। এর মধ্যেই আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়, যা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন সেটি ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী। সম্প্রতি সেই ভিডিওটিরই সত্যতা প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement
Advertisement

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক প্রেমিক তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকার মৃত্যুর পর তার সিঁথি রাঙিয়ে দিচ্ছেন সিদুরে, পরিয়ে দিচ্ছেন সিঁদুরের টিপও। তবে এই ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই এই যুবক-যুবতীকে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলা ভেবে ভুল করছিলেন। সেটা যে সত্যি নয়, তা খুব অল্পসময়ের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছিল।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

জানা গিয়েছে, অসমের নগাঁও জেলার রাহার বাসিন্দা তারা। প্রার্থনা বোরা ও বিটুপান তামুলি দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন। একসাথে সংসার করার স্বপ্নও দেখতেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সেই স্বপ্ন পূর্ণতা পায়নি। বেশ কিছু সময় ধরে মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন প্রার্থনা। লড়াইয়ের শেষটা হাসিমুখে জয় করতে পারেননি তিনিও। তবে তাদের সাথে এক বিস্তর মিল রয়েছে ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর প্রেমকাহিনীর। তাদের এই প্রেমের গল্প আপাত দৃষ্টিতে অদ্ভুত বিস্ময়কর মনে হলেও, সেটাই যে সাধারণ স্বাভাবিক ছিল তা তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন।

প্রার্থনা ও বিটুপান একসাথে বিয়ে করে সংসার করার স্বপ্ন দেখতেন। তবে তার মাঝেই প্রার্থনার জীবনে থাবা বাসায় মরণরোগ। লড়াই করেছিলেন অনেকদিন। তবে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে যান প্রার্থনা। তাও নিজের সবথেকে ভালোবাসার মানুষটার স্বপ্ন অপূর্ণ রাখা যায়! তাই শেষ বিদায় জানানোর আগেই প্রার্থনার সিঁথি ভরিয়ে দেন সিঁদুর। পরিয়ে দেন টিপ ও মালাও। বউ সাজেই নিজের প্রেমিকাকে বিদায় জানান তিনি। চারিদিকের মিথ্যের মায়াজাল এর মাঝেও এমন কিছু ভালোবাসার গল্পরা বেঁচে থাকুক আজীবন। যারা হয়তো না থেকেও খুব ভীষণভাবে রয়ে যাবেন। শিখিয়ে যাবেন ভালোবাসার মানে।

এই দুনিয়ায় হয়তো সবই সম্ভব! রাজধানীর বুকে আফতাবের মতো প্রেমিকরাও রয়েছেন, যে কিনা নিজের প্রেমিকাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফেলেছে। তবে তাদের প্রেমিক বলা চলে না। আর এমন একটা দুনিয়াতে সব্যসাচী ও বিটুপানের মতো নির্ভেজাল, নিঃস্বার্থ ভালবাসায় বিশ্বাসী প্রেমিকদেরও দেখা মেলে। যারা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, এভাবেও ভালোবাসা সম্ভব।

Related Articles

Back to top button