জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, ডেকে আনে মারাত্মক বিপদ।

Advertisement
Advertisement

ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : বর্তমানে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সাধারণ ডায়াবেটিসের থেকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস জটিলতর। এর চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।

Advertisement
Advertisement

এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে খুব কম বয়সেই অনেক সংখ্যক নারী আক্রান্ত হচ্ছে। এর জন্য বেশি করে দায়ী অত্যধিক ওজন, পারিবারিক ইতিহাস, অনেক বেশি বয়সে সন্তানের জন্ম দেওয়া ইত্যাদি। প্রথম সন্তানের সময় যদি ডায়াবেটিস থাকে বা আগে যদি গর্ভপাত হয়ে থাকে কিংবা গর্ভেই যদি সন্তানের মৃত্যু ঘটে থাকে তাহলে এর সংশয় আরো বেশি। এজন্য গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যেই।

Advertisement

যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের পরবর্তীকালে ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করাতে হবে যেটি সন্তান জন্মাবার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর করাতে হবে।

Advertisement
Advertisement

যদি অতীতে কোন সময় আপনার গর্ভপাত হয়ে থাকে বা গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেদিকে আপনার লক্ষ্য রাখা দরকার। অথবা আপনার যদি বর্তমানে ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি তা নিয়ন্ত্রণ করুন। এবং সন্তান নেওয়ার আগে ওষুধ ব্যবহার না করে ইনসুলিন এর সাহায্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি খুব বেশি হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিসের কারণে আপনার অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে ।যেমন -যোনিপথ ছত্রাক দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে বা আপনার বারবার প্রস্রাব এর বেগ আসতে পারে। এছাড়া যেসব নারীরা ডায়াবেটিসে ভোগেন তাদের হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অন্যান্য নারীদের তুলনায় তাদের কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
সুতরাং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

Advertisement

Related Articles

Back to top button