আমাদের দেশে প্রত্যেক ঋতুতে আলাদা আলাদা ফল হয়, কিন্তু কলা বারো মাস পাওয়া যায়। এর পৌষ্টিক গুনও প্রচুর, সাস্থের সাথে ত্বকের জন্যেই উপকারী এই ফল। কলার সব উপকারিতা সম্বলিত কলার ফেসপ্যাক ত্বককে উজ্জ্বল করার একটি দারুন উপায়। কলার প্রধান উপাদান, যেমন ভিটামিন, পটাসিয়াম এবং জিঙ্ক, ত্বককে ময়শ্চারাইজ, পরিষ্কার, টোন এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে। সব ধরনের ত্বকের জন্য কলা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। আপনি যদি ভাবছেন কীভাবে কলার ফেসপ্যাক তৈরি হয়, তাহলে এখানে আপনার জন্য কলার ফেসপ্যাকের রেসিপি দেওয়া হল।
১) তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে কলার প্যাক:-
উপকরন: কলা, পেঁপে ও শসা।
এই ফেস প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের পুষ্টি জোগায়। পেঁপে, শসা এবং কলার গুণে পরিপূর্ণ এই।ফেসপ্যাক। পেঁপে পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে, শসা পুষ্টি জোগায় এবং শুষ্কতা কমায় যখন কলা ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতৈরির প্রক্রিয়া ও ব্যাবহার প্রণালী:
পেঁপে, শসা এবং কলা মিশিয়ে একটি মসৃণ তৈরি করুন। আপনার মুখ এবং ঘাড়ে পেস্ট প্রয়োগ করুন এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
২) পিম্পলের জন্যে বানানা ফেস প্যাক:-
উপকরন :- কলা, নিম, হলুদ।
কলায় থাকা ভিটামিন সি প্রদাহ এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে যখন নিম এবং হলুদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাকটি ব্রণ এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে।
তৈরির প্রক্রিয়া ও ব্যাবহার প্রণালী:
একটি কাপে অর্ধেকটি কলা নিন, এটিকে ম্যাশ করুন, ১টি ছোট চামচ হলুদ, ১টি বড় চামচ নিম পাউডার নিয়ে মিশিয়ে পোস্টে তৈরি করুন করুন। একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে এটি ভালভাবে মেশান। পেস্টটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান এবং ২০ মিনিটের জন্য থাকতে দিন।স্বাভাবিক জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩) এজিং স্কিনের জন্যে এই ব্যানানাফেস প্যাক:
উপকরন: কলা এবং দই।
দইয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটিতে ল্যাকটিক অ্যাসিডও রয়েছে, যা ত্বকের টোনকে সমান করতে এবং ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে সহায়তা করে। কলা ও দইয়ের মিশ্রণ কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
তৈরির প্রক্রিয়া ও ব্যাবহার প্রণালী:
একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ দই রাখুন এবং অর্ধেক পাকা কলা নিন। এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে একটি পাতলা, সমান স্তরে প্রয়োগ করুন।কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।
