ভাইরাল & ভিডিও

একসময়ে ছিলেন সাধারণ এক শ্রমিক, সেখান থেকেই আজ নেট দুনিয়ার জনপ্রিয় মডেল এই বৃদ্ধ

পুরনো বন্ধু ভাগ্য বদলে দিল মম্মিকার

Advertisement
Advertisement

একটা সময়ে ছিলেন একজন সামান্য শ্রমিক, সেখান থেকেই আজ দক্ষিণ ভারতের অন্যতম সুপরিচিত মডেল এই বৃদ্ধ। কথায় বলে, কখন কোন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায় তা কেউ বলতে পারে না। সেরকমটাই কিছুদিন আগে ঘটে গেলো কেরলের একজন দেহাড়ি শ্রমিকের সঙ্গে। ৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের নাম মম্মিকা। সোশ্যাল মিডিয়াতে বর্তমানে তিনি একেবারে ছেয়ে গিয়েছেন বলা যেতে পারে। একটা সময় পর্যন্ত তাকে দেখা যেত শুধুমাত্র লুঙ্গি এবং শার্ট পরে থাকতে। কিন্তু এখন তার পরনে রয়েছে একেবারে সুট বুট। একটা সময়ে শ্রমিকের কাজ করা সেই ব্যক্তি এখন একজন মডেল। তার এই পরিবর্তনের কাহিনী আজকে আপনাদের শোনাবো।

Advertisement
Advertisement

আসলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে একটি ওয়েডিং শুট প্ল্যানার কোম্পানি। ফটোগ্রাফার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার শরিক বায়ালিলের ক্যামেরায় একেবারে অন্য ধাঁচে ধরা দিয়েছেন এই বৃদ্ধ শ্রমিক। শরিক জানাচ্ছেন, “মম্মিকা ছোটবেলা থেকেই আমার সব থেকে ভালো বন্ধু। আমি যখন মাত্র নয় বছর বয়সী ছিলাম, তখন কোন একটা কারণে আমি নদীতে প্রায় ডুবে গিয়েছিলাম। সেই সময় ও আমাকে বাঁচিয়ে তোলে। আমি চিরকাল ওর প্রতি কৃতজ্ঞ।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, শরিক নিজে SHK ডিজিটাল ওয়েডিং স্টুডিওর মালিক এবং তিনি নিজেই মম্মিকার ফটোশুট করেছেন। তারপরে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেখান থেকেই ভাইরাল হতে শুরু করেন এই বৃদ্ধ শ্রমিক।

Advertisement

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানাচ্ছেন, “মম্মিকা আমার প্রতিবেশী। তার কাছে একটা অদ্ভুত রকমের ফটোগ্রাফি করার মত চেহারা রয়েছে এবং সেটাই আমি নিজের ক্যামেরায় তুলে ধরতে চেয়েছি। তার এই অভূতপূর্ব চেহারা ক্যামেরায় আরো ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।” অন্যদিকে, মম্মিকা বলছেন, “এই ফটোশুটের কথা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে, তবে এতদিন পরে গিয়ে এই ফটোশুট শেষ হলো। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি যে, এরকম একটা সামান্য ফটোশুট থেকে আমি এতটা জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারবো। আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

Advertisement
Advertisement

তিনি আরো বললেন, “আমার ছবি যখন ইন্টারনেটে জনপ্রিয় হতে শুরু করল, এবং পুরো সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার ব্যাপারে চর্চা হতে শুরু করল, আমি বুঝতে পারলাম আমি এখন আর সাধারণ কোনো শ্রমিক নেই। ব্যাপারটা বেশ বড় মাত্রায় পৌঁছে গেছে।” একটি ফর্মাল ব্লেজার, এবং চোখে ট্রেন্ডিং রোদচশমায় মম্মিকা একেবারেই অসাধারণ। শরিকের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কোম্পানি ইয়োর চয়েসের জন্য পোজ দিয়েছিলেন মম্মিকা, যা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয়। এই সম্পূর্ণ লুকটাকে আরো বেশি কেতাদুরস্ত হিসাবে সামনে রাখার জন্য মম্মিকার হাতে একটি আইপ্যাড পর্যন্ত রেখেছিলেন শরিক। এতদিন যেখানে, প্রতিদিন শ্রমিকের কাজ করে মম্মিকা মাত্র ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা রোজগার করতেন সেখানেই আজকে তিনি ইন্টারনেটে ভাইরাল। বর্তমানে তার তুলনা করা হচ্ছে তামিল অভিনেতা বিনায়কনের সঙ্গে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button