নিউজপলিটিক্সরাজ্য

কুপুত্র শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবারে রাজনীতির ময়দানে নন্দীগ্রামের মা ফিরোজা বিবি

তিনি বলছেন, কূপূত্র থেকে নিপূত্র ভালো

Advertisement
Advertisement

বাংলার ভোটের ময়দানে এবারে ছেলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নামতে চলেছেন একজন মা। এখানে ছেলে হলো সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং মা হলেন ফিরোজা বিবি। রাজু রাজনীতিতে ফিরোজা বিবি (Firoza Bibi) পরিচয় নন্দীগ্রামের মা হিসেবে। নন্দীগ্রামে গত ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ফিরোজা বিবি পুত্র শেখ ইমদাদুল। তারপর থেকেই তিনি হয়ে যান শহীদের মা। ২০০৯ সালে তাকে প্রার্থী করে উপ নির্বাচনে জয়লাভ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর, ২০১১ সালেও তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জয়লাভ করেছিলেন। তবে বর্তমানে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে ফিরোজা বিবি মন্তব্য,” আমার হাজার সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়তে হয় তাতে আমি রাজি।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের কলেজ ময়দান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু সাথে সেখানে যোগ দিয়েছেন তার অনেক অনুগামী। তবে মা ফিরোজা বিবি কিন্তু এখনো তৃণমূলে আছেন। জানা যাচ্ছে তৃণমূল ছাড়ার পরে শুভেন্দু সঙ্গে ফিরোজা বিবি কোন কথা হয়নি। আসন্ন নির্বাচনে তিনি মেনে নিয়েছেন যে পুত্রসম শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তাকে লড়াইয়ে নামতে হবে। ফিরোজা বিবি র মন্তব্য, “কুপূত্র থেকে নিপুত্র ভালো। আমি এক সন্তান হারিয়ে হাজার সন্তান পেয়েছি। তাই একজন কুপুত্রের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়তে হয় তাতে আমি রাজি।”

Advertisement

যদিও, এখনো পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি যে তৃণমূলের তরফ থেকে কে লড়তে চলেছেন নন্দীগ্রাম আসনে। তবে, ফিরোজা বিবি সাফ কথা, দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার মন্তব্য করা উচিত নয়। যদি দল মনে করে তাহলে তিনি লড়বেন। কে ভাই অথবা কে ছেলে সেই সব দেখার সময় তার কিন্তু নেই। তিনি আরো বলছেন,”বিজেপির কাজ কর্ম এবং নেতাদের ভাষা নিয়ে আমার ক্ষোভ রয়েছে। আমি দিদির সঙ্গে ছিলাম এবং দিদির সঙ্গে লড়াই করব। ওরা বলছে খেড়িয়া হটাও, দেশ বাঁচাও। আমরা কি খেড়িয়া? বিজেপির লোকজন এসব বলে বেড়াচ্ছে।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button