সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর

Advertisement

Advertisement

সৌভিক ও স্যামুয়েল-কে গ্রেফতারের পর ফাঁস হয় বহু তথ্য। জেরায় সৌভিক ও স্যামুয়েল স্বীকার করে দিদি রিয়াই মাদক আনতে বলতেন। এরপরেই সমন পাঠানো হয় রিয়ার বাড়িতে। দফায় দফায় জেরা করা হয় রিয়াকে। শেষে রিয়া চক্রবর্তী স্বীকার করেন যে সুশান্ত মাদক নিতেন এবং তিনি নিজেও পাঁচবার মাদক আনিয়েছেন সুশান্তের জন্য, তবে তিনি নিজে কখনো মাদক সেবন করেননি। এখানেই শেষ করেননি রিয়া, এরপর রিয়া সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংহ ও মীতু সিংহ এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।

Advertisement

সুশান্তের এই দুই বোনের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ হানেন রিয়া চক্রবর্তী। বান্দ্রা থানার ইন্সপেক্টর প্রমোদ কুমার সুশান্তর দুই দিদি ও এক চিকিত্সকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। সুশান্তের দিদি যেই চিকিৎসকের সঙ্গে মৌখিক আলাপে সুশান্তের জন্য ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করতেন তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। সংবাদমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ( প্রতারণা), ৪৬৪ ( ভুয়ো নথি তৈরি), ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৬৬ ,৪৬৬ ( প্রতারণার উদ্দেশে জালিয়াতি), ৪৭৪(নথিপত্র হাতানো), ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ও ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে নারকোটিক্স ড্রাগস ও সাইকোট্রোপিক সাবস্ট্যান্স আইনের আওতায় ৮(১), ২১,২২ ও ২৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এইব্যপারে, রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তর জন্য ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের অভিযোগে ডাক্তার তরুণ কুমার ( দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলোজির অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর) কেও এফআইআরে-এর আওতায় এনেছেন।

Advertisement

সুশান্তের দিদি, চিকিৎসক তরুন কুমারের কথামতোই সুশান্তের জন্য প্রেসক্রিপশন বানান, এরপরেই বাদে বিবাদ। রিয়ার কথা মত, গত ৮ই জুন সুশান্ত সাফ জানান যে সে দিদির দেওয়া ওষুধই খাবেন। এরপরেই শুরু হয় বচসা। এই বচসার জেরে সুশান্ত নিজেই রিয়াকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। রিয়ার অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে ওই প্রেসক্রিপশন ভুয়ো বলেই মনে হচ্ছে এবং এর জন্যেই সুশান্তের দুই দিদি সহ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রিয়া। এরপরেই এই মামলা চলে যায় সিবিআই-এর হাতে।