গুরুতর অপরাধে যে যে অভিনেতার জেলে যেতে হয়েছিল

Advertisement

Advertisement

কৌশিক পোল্ল্যে: বলিউডের রঙিন দুনিয়ায় সুপারস্টার হয়ে টিকে থাকা মুখের কথা নয়। পাবলিক ফিগার হিসেবে সর্বক্ষন বিতর্ক এদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সামান্য কিছু ভুলচুক হয়ে গেলে তার মাশুল গুনতে হয় সেই সেলেবকেই। সাফল্য অর্জনের পর বেশ কিছু তারকা এমন কিছু শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে ফেলেছিলেন যে কারনে পুলিশি আইনে জেলে রাত কাটাতে হয়েছিল এই সকল জনপ্রিয় অভিনেতাকে। কোন কোন জনপ্রিয় অভিনেতা এখনও পর্যন্ত জেলে গিয়েছেন? কেন এরকমটা ঘটেছিল তাদের সাথে? কি ছিল তার কারন? চলুন সেই নিয়েই বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

১) সলমান খান: বলিউডের ভাইজান আইনকে ফাঁকি দিতে পারেননি। শাস্তিযোগ্য অপরাধে তাকেও জেলের ঘানি টানতে হয়েছিল বইকি। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিন হত্যা মামলায় এই ছবির তারকাদের নাম জড়িয়ে যায়, পরে অবশ্য সলমানকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপর গাড়ি দুর্ঘটনায় আরও এক পুলিশি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সলমান, গাড়ির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফুটপাতের কিছু মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন এই অভিনেতা যে কারনে তার শাস্তিও হয়েছিল।

Advertisement

২) সঞ্জয় দত্ত: এই অভিনেতার জীবন পুলিশি বিতর্কে পরিপূর্ন। জেলের চক্করে তার ফিল্ম কেরিয়ারে যথেষ্ট প্রভাব পড়ে এবং ফিল্মসিটিতে তার রেপুটেশন যথেষ্ট পড়ে যায়। অভিনেতার সঙ্গে আন্ডারত্তয়ার্ল্ডের যোগসূত্র থাকার সন্দেহে তাকে জেলবন্দী করা হয় এবং ২০১৩ থেকে ২০১৬ অবধি অভিনেতার হাজতবাস হয়।

Advertisement

৩) সুরোজ পাঞ্চোলি: হাজতবাসের কারনেই এই উঠতি অভিনেতার কেরিয়ারে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল। ২০১৩ সালে অভিনেত্রী জিয়া খানের আকস্মিক আত্মহত্যার ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বলিউড। অভিনেতার সঙ্গে সে সময় জিয়া প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এবং মৃত্যুর কারন হিসেবে প্রেমজনিত সমস্যাকেই দায়ী করে পুলিশি বিতর্কে সুরজকে জেলে যেতে হয়েছিল।

৪) সঈফ আলি খান: পতৌদি ঘরনার এই নবাব পুত্রকেও জেলে রাত কাটাতে হয়েছিল। একটি হোটেলে সঈফ এবং তার বন্ধুরা হইহট্টগোলে মেতে ছিলেন ফলে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এমত অবস্থায় হোটেলের আর এক এনআরআই গ্রাহক তাদের শান্ত হবার পরামর্শ দিলে সঈফের মাথায় রাগ চড়ে যায় এবং তিনি ওই ব্যক্তিকে মারধর করতে শুরু করেন। পরে ওই ব্যক্তি সঈফের নামে পুলিশের শরনাপন্ন হলে অভিনেতা আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

৫) জন আব্রাহাম: অগনিত তরুনীদের ক্রাশ এই ফিটনেস ফ্রিক অভিনেতাও হয়েছিলেন হাজতবাসের শিকার। তার বাইক চড়ার প্রতি ভীষন আগ্রহ ছিল এবং সেই শখেরই বড়সড় দাম দিতে হয়েছিল অভিনেতাকে। বাইক চালাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি, তিনি বাইক অ্যাক্সিডেন্টে দুই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করেন যার দরুন ১৫দিনের জন্য অভিনেতার হাজতবাস হয়।