দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে বহুদিন ধরেই। বিগত ছয় বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী নেতারা। ৪৫ বছরে বেকারত্বের হারও তলানিতে ঠেকেছে। এতদিন বিরোধীদের এই সমস্ত অভিযোগকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এবার উপায় নেই। খোদ রিজার্ভ ব্যাংক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে দেশের অর্থনীতির হাল শোচনীয়।
এরপরই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও তীব্র করেছে বিরোধীরা। নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে নজর ঘোরাতেই নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে মোদী সরকার। যাতে মানুষ বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আর্থিক বৃদ্ধির ঘাটতি নিয়ে ভাবার সুযোগ না পায়। জাতপাতের রাজনীতিতে জড়িয়ে দিয়ে মানুষকে আসল সমস্যাগুলো ভুলিয়ে রাখার জন্য সচেষ্ট রয়েছে সরকার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅর্থনীতির এই শোচনীয় অবস্থা নিয়ে প্রাক্তন রাহুল গান্ধী নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। বলেন, ‘অর্থনীতির এই বেহাল দশা কেন, মানুষকে তা বোঝাতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। সম্ভবত উনি নিজেও কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। নরেন্দ্র মোদী ও নির্মলা সীতারমণের নেতৃত্বে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দেশ।’
রিজার্ভ ব্যাংক সূত্রের খবর, দেশের অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ব্যাংক ঋণের পরিমাণও তলানিতে ঠেকেছে। ২০২০-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাংক।