সাক্ষাৎকার

সুশান্ত সিং রাজপুত একজন প্রতিভাবান অভিনেতা, ওর অনেক ট্যালেন্ট ছিল : অভিনেতা বাদশা মৈত্র

একজন প্রতিভাবান অভিনেতা যার আরো অনেক কিছু ভারতীয় সিনেমাকে দেওয়ার ছিল। হ্যাঁ সেটা অনেক বড় ক্ষতি হল : বাদশা মৈত্র

Advertisement
Advertisement

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউড নেপোটিজম নিয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। বিতর্কে সেই ঢেউ এসে পৌঁছেছে বাংলার ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এ ব্যাপারে নিজেদের মতামত রেখেছে , অনেকে আবার নেপোটিজম এর শিকার হওয়ার কাহিনী সর্বসমক্ষে এনেছে। সবমিলিয়ে নেপোটিজম নিয়ে এক প্রবল বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement
Advertisement

এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে মতামত নেওয়ার জন্য ভারত বার্তার প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিল মাননীয় অভিনেতা শ্রী বাদশা মৈত্র সঙ্গে। তিনি এই ব্যাপারে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের ভারত বার্তার প্রতিনিধিকে জানান।

Advertisement

সুশান্ত সিং রাজপুত এর মত একজন প্রতিভাবান অভিনেতা এই অকাল প্রয়াণে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে কতটা অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করে ?

Advertisement
Advertisement

বাদশা মৈত্র : একজন প্রতিভাবান অভিনেতা যার আরো অনেক কিছু ভারতীয় সিনেমাকে দেওয়ার ছিল। হ্যাঁ সেটা অনেক বড় ক্ষতি হল। ও সত্যিই একজন প্রতিভাবান অভিনেতা , ওর অনেক ট্যালেন্ট ছিল। ভারতবর্ষের সিনেমা জগতকে যে কাজগুলো দিতে পারতো সেটা দিতে পারল না। এর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি বলুন দর্শক বলুন সবার কাছে অনেক বড় লস। ভালো অভিনেতা ছিল।

সুশান্ত সিং রাজপুত এর মত একজন প্রতিভাবান অভিনেতা এই অকাল প্রয়াণে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে কতটা অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করে ?

বাদশা মৈত্র : একজন প্রতিভাবান অভিনেতা যার আরো অনেক কিছু ভারতীয় সিনেমাকে দেওয়ার ছিল। হ্যাঁ সেটা অনেক বড় ক্ষতি হল। ও সত্যিই একজন প্রতিভাবান অভিনেতা , ওর অনেক ট্যালেন্ট ছিল। ভারতবর্ষের সিনেমা জগতকে যে কাজগুলো দিতে পারতো সেটা দিতে পারল না। এর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি বলুন দর্শক বলুন সবার কাছে অনেক বড় লস। ভালো অভিনেতা ছিল।

বর্তমান যুগে ডিপ্রেশন একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে কি দাওয়াই আপনার ফ্যানদেরকে দিতে চাইবেন ?

বাদশা মৈত্র : আমার মতে দাওয়াই হচ্ছে ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে হবে। পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে প্রচার চালানো এতে ডিপ্রেশন কমে আসবে , অপঘাত কমবে ও মৃত্যু তুলনামূলক কম হবে। মানুষ তুলনামূলক ভালো থাকবে। আমার আপনার চাকরির নিশ্চয়তা বাড়বে। আপনি যখন বাড়ি ফিরে জানবেন যে আপনার আগামী 15 বছর আপনার চাকরি থাকবে আপনার যা নিরাপত্তা আসবে আর অন্যদিকে আপনার প্রতিদিন মনে হয় আপনার চাকরিটা থাকবে না। ছোট্ট বাচ্চা থাকলে কালকে তাকে কি খাওয়াবেন ? বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা থাকলে তাকে কি খাওয়াবেন ? আর প্রত্যেকদিন যদি মনে হয় আপনার চাকরি চলে যাবে তাহলে কি আপনার ডিপ্রেশন কাটবে ? তাহলে ক্যাপিটালিজম এই অর্থনীতিকে প্রমোট করে , যে অর্থনীতিতে চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে না ! সমীর কোনো মূল্য থাকবে না ! তাহলে ডিপ্রেশন কাটবে কি করে ? এখানে পরলোক আরো বড়লোক হবে এবং গরীব আরো গরীব হবে তাহলে ডিপ্রেশন কাটবে কি করে ? তাই যদি গভীরভাবে বলতে হয় তাহলে ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে বলতে হবে তবে ডিপ্রেশন কাটবে না হলে ডিপ্রেশন কাটবে না। শুধু এখানে না যেগুলো পৃথিবীর প্রথম বিশ্ব , আমেরিকার দিকে তাকান আমাদের থেকে ডিপ্রেসড লোকের সংখ্যা অনেক বেশি , সুইসাইড অনেক বেশি। তার মানে প্রমাণ হয়ে গেছে , ক্যাপিটালিজম দিয়ে এ বিষয়গুলোকে আটকানো যায় না বরং বাড়ে। আমরাও আজকে তার শিকার হয়ে পড়েছি। ডিপ্রেশন কাটাতে হলে এর বিরুদ্ধে যেতে হবে।

 [ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস ]

Advertisement

Related Articles

Back to top button