বিধানসভা ভোটে মালদায় সব আসন পাবে তৃণমূল, ঘোষণা করে দিলেন মৌসম বেনজির নূর

Advertisement

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিল এবং মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা জনবিরধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ‘মেগা রড শো এবং জনসভা’ অনেকটা পরিণত হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা শো তে। শহরের রাজপথ অবরোধ হয়ে রইল প্রায় ঘণ্টা তিনেকের জন্য। তৃণমূলের জেলা নেত্রী মৌসম বেনজির নূর এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ শীর্ষ নেতারা এইদিন অগণিত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এবং তৃণমূলের কর্মী নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করেন। মিছিলে চলে বিজেপি বিরোধী স্লোগান। সাথে শোনা গিয়েছে ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’ এবং ‘শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো’ এর মতো স্লোগানও।

Advertisement

এইদিন দুপুর ১ টায় শহরের কলেজ মাঠে এলাকায় শাসক শিবিরের উদ্যোগে শুরু হয় মহামিছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের মালদা জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মালদা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয় তৃণমূলের মহামিছিল। মিছিলের জন্য এইদিন মালদা শহর কার্যত হয়ে পড়ে অবরুদ্ধ। পাশাপাশি এইদিনের মহা মিছিল এবং সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছাড়াও বহু প্রথম স্তরের নেতা। উপস্থিত ছিলেন মহিলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার, প্রাক্তন কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।

Advertisement

এইদিন কৃষি বলের প্রতিবাদে করা হয় এই মহামিছিল। জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল মালদা জেলা যুব তৃণমূলের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। যার উদ্যোক্তা ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতিও। তবে কৃষি বিলের থেকেও এই সভায় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে। মহিলা তৃণমূলের সভাপতি চৌতালী ঘোষ সরকার এইদিন বিজেপিকে পরামর্শ দেন,”শুভেন্দু অধিকারীর মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সাবধানে ঘর করবেন। এরা যে কোনও সময় সাপের মতো ছোবল পারতে পারেন।”

Advertisement

অন্যদিকে মৌসম বেনজির নূর বলেন,”আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করি। বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতা-নেত্রী আছেন, যারা সময় বুঝে অন্য দলে চলে যায়। এরকম নেতা-নেত্রীদের দরকার নেই দলে। অনেকেই বলছিলেন মালদায় নাকি টিএমসি অন্দরে কন্দোল চলছে কিন্তু আজকের মহামিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা ভুল।”

Recent Posts