নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘যারা লোকাল ট্রেন চালাতে পারে না তারা আবার নির্বাচন করবে, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

হুগলিতে একটি দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এরকম মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement
Advertisement

বুধবার হুগলিতে এসে এবারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁচা ছোলা মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনেশন শেষ না করা পর্যন্ত উপ নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই, এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারী একটি সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করলেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে যা করো না পরিস্থিতি চলছে তাতে উপনির্বাচন করো না একেবারেই উচিত নয়। তার পাশাপাশি উপ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “যারা ট্রেন চালাতে পারছে না তারা আবার ভোট চাইছে কেন?”

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে আবার বাংলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর মন্তব্য, ” বাংলায় একটা সেল কাজ করছে যারা ফোন করে করোনাভাইরাস এর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার কাজ করছে। ” এছাড়াও তিনি বলছেন, “মাদ্রাজ হাইকোর্ট অসম, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যে মন্তব্য করেছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। উনি এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন? বিজেপি যদি উত্তরাখণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করতে পারে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরে যেতে পারছেন না কেন? ওনার তো ২১০-১২ জন বিধায়ক আছেন। তাদের মধ্যে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিলেই হয়। আসলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কারণেই এসব করা যাচ্ছে না।” শুভেন্দু আরো খোঁচা দিলেন, “রাজ্যে শতাধিক পৌরসভা এবং কর্পোরেশনে এতদিন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হয়নি। মাত্র সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নিয়ে এত তাড়া কেন দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ”

Advertisement

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যে উপ নির্বাচনের দাবিতে ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে অতি দ্রুত উপ নির্বাচনের জন্য আর্জি জানিয়ে এসেছে। রাজ্যে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে রাজ্য সরকার। তাই কমিশন মাত্র ৭ দিন প্রচারের সময় দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছে সেই প্রতিনিধিদল। কিন্তু এই সাতটি উপ নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ভবানীপুর কেন্দ্র যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

নন্দীগ্রামে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, কিন্তু সেই পরাজয় নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোন বিধানসভা কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার পর যদি ছয় মাসের মধ্যে কোন একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী জয়ী আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা যায় সেই নিয়ে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button