এ বছর দুর্গাপুজো যেন তাড়াহুড়োতেই হাজির হচ্ছে। মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর, আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই মহাষষ্ঠী—২৮ সেপ্টেম্বর। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে পুজোর তোড়জোড়। তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের অঙ্ক এবার কত দাঁড়াবে?
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা করে। সঙ্গে ছিল বিদ্যুৎ বিলে ছাড়। প্রায় ৪৩ হাজার ক্লাব সেই অনুদান পেয়েছিল—যার মধ্যে কলকাতার ৩ হাজার, আর বাকি ৪০ হাজার ছিল জেলার পুজো কমিটি। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল সরকারের তরফে। চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রীর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অনুদানের অঙ্ক ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে। ফলে জল্পনা তুঙ্গে—এই বছর কি অনুদান ছুঁবে ১ লক্ষ টাকা?
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএখনই উত্তর পাওয়া না গেলেও অপেক্ষা বেশি দিনের নয়। ৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসছে বড় বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা, মন্ত্রীরা এবং রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা। এবার বৈঠকে বিশেষভাবে ডাকা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি—হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ প্রমুখদের। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য, পুজোকে আরও সার্বজনীন রূপ দেওয়া।
তবে শুধুই অনুদানের অঙ্কই নয়, এবার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। অনেক ক্লাব RG কর সংক্রান্ত জটিলতায় গত বছর অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিল। এই ক্লাবগুলিকে কি এবার আবার অনুদান দেওয়া হবে? একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, পুজো কমিটির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে—ফলে আরও বেশি খরচের সম্ভাবনাও থাকছে।
২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোয় আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অনুদানের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। সময়ের সঙ্গে সেই অঙ্ক প্রায় চার গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজারে। ২০২৩ সালে যেখানে প্রতি ক্লাব পেয়েছিল ৭০ হাজার টাকা, সেখানে ২০২4-এ তা একধাক্কায় ১৫ হাজার টাকা বেড়েছিল।
তবে পুজোর আগে সরকারের এই আর্থিক সহায়তা একদিকে যেমন পুজো আয়োজকদের মুখে হাসি ফোটায়, অন্যদিকে বিরোধীরা এই খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে সরকার জানিয়েছে, পুজো রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—এটা কেবল ধর্মীয় নয়, বরং রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এবছর দুর্গাপুজো কবে শুরু হচ্ছে?
এবছর মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর এবং মহাষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর।
গত বছর কত টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল?
প্রতি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা করে।
এবার কি অনুদানের অঙ্ক বাড়বে?
জল্পনা আছে যে অনুদান বেড়ে ১ লক্ষ টাকা হতে পারে, তবে সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি।
৩১ জুলাইয়ের বৈঠকে কী কী হবে?
পুজো অনুদান ঘোষণা ছাড়াও থাকবেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা, পুজোর সার্বজনীন রূপ নিয়েও আলোচনা হবে।
পুজো অনুদান প্রথম কবে শুরু হয়?
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অনুদান দেওয়া শুরু করে, প্রথমে প্রতি ক্লাব ২৫ হাজার টাকা পেত।