Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

অর্থের অভাব! ভাঙা সাইকেলে মিষ্টি বিক্রি করে অর্থ রোজগার করছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র

মারাত্মক ভাইরাস করোনার কারণে দেশের অনেক লোক তাদের জীবিকা হারিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের ফলে দেশের মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় প্রচুর দরিদ্র মানুষদের…

Avatar

By

মারাত্মক ভাইরাস করোনার কারণে দেশের অনেক লোক তাদের জীবিকা হারিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের ফলে দেশের মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় প্রচুর দরিদ্র মানুষদের তারা নিজের পরিবার চালাতে শেষ অর্থ ব্যয় করেছে এবং তাদের পরিবারকে খুব কষ্টে টেনে নিয়েছে। এবং দীর্ঘদিন ধরে এই করোনায় সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই সময়ে অনেক শিক্ষার্থী সেগুলি অধ্যয়ন করতে পারেনি।

অনেক পরিবার অনলাইনে ক্লাস করার জন্য একটি ছোট মোবাইল ফোনও বহন করতে পারেনি।আমদের পশ্চিম বঙ্গে অনেক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। এবারে সোশ্যাল মিডিয়াতে এরকম উদাহরণ পাওয়া যায়। এ রকমই এক দরিদ্র পরিবার রয়েছে বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলে, খারগ্রাম নামক একটি জায়গায় এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছে সুমন ঘোষ যে অত্যন্ত মেধাবী হওয়ার সত্তেও অভাবী দরিদ্র পরিবার তার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুমন ক্লাস সেভেনে খারগ্রামের জুনিয়র হাইস্কুলে। এতটাই দরিদ্র পরিবারে জন্ম তার অর্থের অভাবে আরো উচ্চশিক্ষায় সে ব্যর্থ হয়। তাও শিক্ষকদের সাহায্যে সে বিদ্যালয় ভর্তি হয়। বাবা-মা এবং তিন বছরের একটি ছোট্ট বোন নিয়ে তার পরিবার। তবে বাবা এখন শয্যাশায়ী আগে ছিল অ্যাম্বুলেন্স চালক। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে বাবা কোন কাজ করতে পারে না। কিন্তু অসুস্থ দরিদ্র হলেও তার বাবা শরত ঘোষ এবং মা নয়ন মনি দেবী তাদের সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে।কিন্তু পাবার এরূপ অবস্থা আর সংসার প্রায় ভেঙে পড়ে লকডাউনে তখনই পুত্রসন্তান সুমন প্রতিজ্ঞা করে সে এই সংসার চালাবে। তখন সুমনের মা বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি করে মিষ্টি আর সেই মিষ্টি ভাঙা সাইকেল নিয়ে সারা গ্রামে ঘুরে বিক্রি করতে থাকে সুমন। এইভাবে যে অর্থ রোজগার হয় সেটা দিয়ে সংসার এবং নিজের পড়াশুনার খরচ চালায় সুমন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

সংবাদ সূত্রে জানা যায় প্রায় সারাদিন ধরেই সুমন গ্রামজুড়ে মিষ্টি বিক্রি করেছে এবং তার থেকে সে ৫০০-৬০০ টাকা রোজগার করত প্রতিদিন। যে বয়সের সুমনের অধ্যায়ন এবং বন্ধুদের সাথে খেলাধুলার মাধ্যমে দিন কাটানোর কথা। সে বয়সে থাকে অর্থের অভাবে পরিশ্রম করে অর্থ রোজগার করে পড়াশোনা এবং সংসার চালাতে হচ্ছে। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র হয়ে তার শৈশব বিসর্জন দিয়ে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করে চলেছে শুধুমাত্র কিছু অর্থের আশায়।

About Author